বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অপহৃত নারী সমর্থক নাজমা খাতুন (৩৩), তার স্বামী বেলাল হোসেন (৩৭), মেয়ে সন্তান জান্নাতি আক্তার(৩) সুতানারা গ্রাম থেকে অপহরণ হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। নাজমা খাতুন বগুড়া-১ সারিয়াকান্দি-সোনাতলা এলাকা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির সমর্থক হওয়ায় তাকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ টি দায়ের করেন, কামালপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে এ নাটক সাজানো হয়েছে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন। রোববার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ টি প্রত্যাহারের দাবিও করেন তারা। অভিযোগে আনোয়ার হোসেন বলেন, নাজমা খাতুন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হওয়ায় সে সহ তার স্বামী বেলাল হোসেন ও মেয়ে সন্তান জান্নাতি কে সুকৌশলে শুক্রবার সন্ধায় বাড়ী থেকে রের করে নিয়ে যান। এঘটনায় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এদিকে অভিযোগ টি পাওয়ার পরপরই পুলিশ সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্তে নামেন। অপরদিকে এঘটনায় নাজমা খাতুন, তার স্বামী বেলাল হোসেন ও মেয়ে সন্তান জান্নাতি রোববার দুপুরে নিজ বাড়ীতে ফিরে আসেন। এখবর ছড়িয়ে পরলে উৎসুক জনতা ভীড় জমান। এরপর বিকেলে ওই নাজমা খাতুন থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্ত্তীর কাছে ঘটনা খোলাসা করেন। এসময় পুলিশের কাছে নাজমা খাতুন বলেন, আমাদেরকে কেউ অপহরণ করেননি। আমার স্বামী বেলাল হোসেনের শারীরিক অসুস্থতার কারণে বগুড়া চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক এর কাজ থেকে ফিরতে রাত হওয়ায় আমার এক মামার বাড়ী এরুলিয়া বানদিঘিতে রাত্রি যাপন করেছি। তিনি এও বলেন, আমাদের কেউই অপহরণ করেননি। কারো প্রতি আমাদের অভিযোগও নেই। থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ভিক্টিমের খোলামেলা আলাপ আলোচনা শুনে মনে হচ্ছে তিনি অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার জন্য ওই দিন বাড়ী থেকে রের হয়েছেন। অভিযোগ কারী ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, অতি উৎসাহি হয়ে অভিযোগ টি করে থাকতে পারেন।