বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জমিতে রাতের আধারে ঘর তুলেছেন বিবাদীর লোকজনেরা। শনিবার দিবাগত রাতে ঘর তোলায় বাদীর লোকজনের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি মৌজার সাবেক দাগ-৩০৬ এবং হাল দাগ-৩৪১ এর সাড়ে ৮ শতক জমি কিনে নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রেজাউল করিম মতিন মন্ডল। এই মতিন মন্ডল গত ৩ বছর আগে মৃত্যুর পর জমিটি নিয়ে বিরোধ তৈরী করে পারতিতপরল গ্রামের এমদাদুল হক সরকার ও তাঁর অংশীদাররা। দীর্ঘ ৩২ বছর জমি ভোগ-দখল করার পর এই বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে সালিশ দরবার করেও কোন ফয়সালা হয়নি। এবিএম রেজাউল করিমের স্ত্রী উপায় না পেয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন জমিটির উপর। এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ বোর্ড টাঙ্গানো হয় গত ২৩ নভেম্বর দুপুর বেলা। কিন্তু বিবাদী হারুনুর রশীদ, আঞ্জুয়ারা বেগম, শাপলা বেগম, এমমাদুল হক ও রাজন সহ জমিটি জোড় পূর্বক ভোগ দখলের পায়তারা করে। বাদী ফরিদা মতিন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও চোরের মত রাতের আধারে ঘর তোলেন তা আমার বোধগম্য নয়। স্থানীয় ছাবজল হোসেন সরকার ও বুলোনী বেগম বলেন, বিবাদী লোকজনেরা টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী দিয়ে রাতের আধারে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, যেহেতু আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেহেতু ঘর তোলা বেআইনী। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো।