আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নীলফামারী-১ আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসনে বীরমুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-৩ আসনে বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এবং নীলফামারী-৪ আসনে বীরমুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন বাবুল। এরা সবাই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তবে তারা বলেন এবারের নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। নির্বাচনে থাকছে বিভিন্ন দলের প্রার্থী। নীলফামারী -১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মনোনয়ন পেয়েছেন খায়রুল আলম আনাম। ফলে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে বলে জানান ভোটাররা। নীলফামারী-২ আসনে জাসদের জাবির হোসেন প্রামাণিক, নীলফামারী-৩ আসনে জাসদের অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম এবং নীলফামারী-৪ আসনে জাসদের মো. আজিজুল হক। নীলফামারী-২ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর বলেন এ আসনে এবার অনেক প্রার্থী। তারা বিভিন্ন দলের হয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দিয়েছিলাম। এবারো বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আসনটি নেত্রীকে উপহার দেবো। এবার প্রতিদ্বন্দ্বী একাধিক প্রার্থী থাকলেও নৌকা মার্কাই জয়ী হবে।’ নীলফামারী-৪ আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণায় চমক দিয়েছে দল। সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে নীলফামারী-৪ আসন। প্রার্থী নির্বাচনে সৈয়দপুর উপজেলাকে বেশি গুরুত্ব দেয় রাজনৈতিক দলগুলো। তবে এবার আওয়ামী লীগ কিশোরগঞ্জ উপজেলার সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ ব্যাপারে জাকির হোসেন বাবুল বলেন, ‘মহাজোট হওয়ায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না। আসনটি জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয়েছিল। এবার জাতীয় পার্টি এবং জাসদ পৃথক প্রার্থী দিয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। তবে নৌকারই বিজয় হবে।