গাজীপুর-৪, কাপাসিয়া ১৯৭ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা ও শিল্পপতি আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে। সোমবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাছাইকালে ঋণ খেলাপী হওয়ার কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন। তবে বাতিলের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে দাখিল করা মনোনয়নপত্র রোববার ও সোমবার বাছাই করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রার্থীদের মনোনয়ন বাছাই করেন। এসময় গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে কাপাসিয়ায় মোট ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার বাছাইয়ের শুরুতে কাপাসিয়া আসনে মনোনয়ন বাছাই করা হয়। বাছাইকালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত, তাজউদ্দীন আহমদের ভাগিনা ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র ঋণ খেলাপী হওয়ার কারণে বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে, তিনি এ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবেন বলে জানানো হয়। কাপাসিয়া আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বর্তমান এমপি সিমিন হোসেন রিমি, জাকের পার্টি প্রার্থী জুয়েল কবির এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুল হক, জাতীয় পার্টির সামসুদ্দিন খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মাসুদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বিএনএফ)’র প্রার্থী. সারোয়ার ই কায়নাত, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আব্দুর রউফ খান। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ৫ জানুয়ারি ২০২৪ প্রচারণার শেষ দিন । ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ।