কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর রেল ষ্টেশনটি বহু প্রাচীনকালে অবস্থিত হলেও এর মান দিন দিন নিচের দিকে যাচ্ছে। এ ষ্টেশনের উপরের টিনগুলো যেন জংকার পড়ে উচু আকাশ দেখা যায়। এ ষ্টেশনের বাথরুম, যাত্রীদের বসার স্থান একে বারেই নিম্ন মানের। ষ্টেশনের আগত যাত্রীরা বসার জায়গা না পেয়ে অনেক সময় ছিনতাইকারী ও টিকেট ব্ল্যাকারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। প্রশাসনের লোকজন দেখেও না দেখার ভান করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে যাত্রীরা জানান, সরারচর রেল ষ্টেশনের উপরের টিনগুলো ছিদ্র হয়ে যাওয়ার কারণে বৃষ্টির সময় তাদের ট্রেনে উঠতে গিয়ে ভিজতে হয়। এ ছাড়া অনভিজ্ঞ লোকজনের কারণে ট্রেনের সঠিক সময় নির্ধারণ না করার ফলে তাদের হিমশিম খেতে হয়। প্রতিদিন ৩টি আন্তঃ নগর ট্রেনে শত শত যাত্রী হয়, সরকারি ভাবে সরকার টিকেট মাষ্টারদের কারণে আন্তঃ নগর ট্রেনের ভিতরের টিটিগণ যে সব যাত্রীগণ টিকেট না কেটে উঠে তাদের নিকট থেকে টাকা নেয় বলে যাত্রীদের অভিযোগ। কিন্তু রেলওয়ের রাজস্ব আয় বেড়ে গেলেও এই সবয় অসাধু কর্মচারীদের কারণে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরারচরের রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের দাবী যদি সরারচর ষ্টেশনের অবস্থাটি উন্নত করা যায় তাহলে যাত্রীরা সুখকর হবে বলে উল্লেখ করেন।