নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা। পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। লোক সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। এটি নীলফামারী - ৪ সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ মিলে সংসদীয় আসন। শুধু সৈয়দপুরে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ সাড়ে ১৩ হাজার। গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা শহর হলেও সংসদ নির্বাচনে প্রায়ই সময় দলীয় প্রার্থী দেয়া হয় কিশোরগঞ্জ থেকে। ফলে উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়ে এ উপজেলা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দপুর থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সহসভাপতি, সিনিয়র নেতা এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জন। এরা বাদেও এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আরো কয়েকজন বসন্তের কোকিল। অবশেষে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হল কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন বাবুলকে। মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে সৈয়দপুরে ঝিমিয়ে পড়ে ভোটের আমেজ। সরকার দলীয় নেতারা হয়ে পড়ে কয়েক ভাগে বিভক্ত। এদিকে দলীয় প্রার্থী নৌকা থাকার পরেও সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোখছেদুল মোমিন, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক পঙ্কোজ ঘোষ। এছাড়াও সৈয়দপুরে প্রার্থী আছেন জাসদের আজিজুল হক, ন্যাপের আব্দুল হাই, তৃণমুল বিএনপির ডঃ আব্দুল্লাহ আল নাসের ও বিএনএম এর এম সাজেদুল করিম। শুধু সৈয়দপুরে এতো প্রার্থী থাকার পরেও ভোটের কোন আমেজ নেই মাঠে। আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। কেন্দ্রীয় নেতারা ওই দ্বন্দ্ব নিরসনে কেন যেন অনিহা। তাই এখানে আওয়ামী লীগ কয়েক ভাগে বিভক্ত। দলীয় প্রার্থী নৌকার পক্ষে কাজ করার প্রকৃত নেতার এখানে বড় অভাব। শেষ মেষ কে যে কার পক্ষে কাজ করবে তা সন্দেহাতীত। যার কারণে সৈয়দপুরে ভোটের আমেজ নেই নির্বাচনী মাঠে।