সরকারি বিধি অমান্য করে দীর্ঘ বছর ধরে একই কর্মস্থলে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকী। দীর্ঘ দিন ধরে তারা একই কর্মস্থলে থাকার কারণে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন সেবা গ্রহীতারা। গতকাল সোমবার এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাক্তি বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়া ও তাদের বদলির দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখত অভিযোগ করেন গজারিয়া বাসীর পক্ষে সেলিম নামে এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিশ্চিত কে অভিযোগকারি সেলিম জানান,গজারিয়া উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন ২ বৎসর এর বেশি একই উপজেলায় কর্মরত থাকার সরকারি বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ৬ বছরের অধিক সময় ধরে তারা গজারিয়া উপজেলায় কর্মরত আছেন দীর্ঘ দিন ধরে একই কর্মস্থলে। দীর্ঘ সময় থাকার কারনে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে সক্ষতা গড়ে উঠেছে। যার ফলে বিগত একাধিক নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তারা। তাদের কর্মকান্ডে প্রশাসনিক এবং রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বেরমত এবারও এক প্রার্থীর পক্ষে তারা সরাসরি প্রলুদ্ধ করছে।তাদেরকে অনত্র বদলী করার দাবি জানান।
জানা গেছে, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকী ২০১২ সালের মার্চ মাসে যোগদান করে এখানে প্রায় ১১ বছর পার করেছেন অপরদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে যোগদান করে দীর্ঘ ৬বছর ধরে একই কর্মস্থলে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এদিকে সরকারি চাকরির বিধি ও পরিপত্র অনুযায়ী একই কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশী সময় কর্মরত থাকার বিধান না থাকা সত্তেও একই কর্মস্থলে তারা পার করছেন দীর্ঘ ছয় বছর। উপজেলার সেবা গ্রহীতাদের দাবি, উপজেলায় দীর্ঘ দিন ধরে কর্মরত থাকায় তাদের আধিপত্যে সেবা গ্রহীতারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ন্যূনতম যে সেবাটুকু পাওয়া দরকার আর্থিক সুবিধা না দিলে সে সেবাটুকুও মিলছে না। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। তাদের অন্যত্র বদলির মাধ্যমে উপজেলায় জনসেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। একই কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় থাকার বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকীর ব্যহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেনি।