নীলফামারীর সৈয়দপুরে গরু, ছাগল ও খাসির মাংসের দাম বাড়িয়ে দিয়ে বিক্রি করছে ব্যবসায়িরা। মাংস ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট থাকায় তারা কৌশলগতভাবে দাম বেশী নিচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে তারা বেশী দামে মাংস বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। দীর্ঘদিনের এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। গরু, ছাগল ও খাসির মাংসের দাম বেশী নেয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সভা করা হয়। সেই সাথে ছাগল ও খাসির মাংসের কেজি ৬শ টাকা থেকে ৬শ ৮০ টাকা এবং গরুর মাংসের কেজি ৫শ ২০ টাকা থেকে ৫শ ৬০ টাকা মুল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়। আবেদনের অনুলিপি দেয়া হয় বিভাগীয় কমিশনার রংপুর, জেলা পুলিশ সুপার, ভোক্তা অধিকার পরিষদ, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সৈয়দপুর পৌর মেয়রকে। এদিকে গরু, খাসি ও ছাগলের মাংসের দাম বেশী নেয়ার প্রতিবাদে শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে, চৌধুরী টাওয়ার ও মদিনা মোড়ে পথ সভা করে ওই রাজনৈতিক দলটি। সোমবার ৪ ডিসেম্বর রাতে ওই পথ সভায় বক্তব্য বলেন, নীলফামারী জেলা কমিটির সদস্য কমরেড তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র মৈত্রীর নেতা মেহেদী হাসান, কেন্দ্রীয় বিকল্প সদস্য ও সৈয়দপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম মাস্টার, কমরেড মজিবর রহমান, আরমান আলী ও কমরেড আশরাফুল আলমসহ অনেকে। সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি নাদিম হোসেন বলেন, বাজারে গরু ও ছাগলের দাম চড়া। তাই দামের ওপরে আমরা কেজি দাম নির্ধারণ করে থাকি। বর্তমানে আমরা খাসির মাংস বিক্রি করছি ৮২০ টাকা কেজি। ছাগলের মাংসের কেজি ৭২০ টাকা আর গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করছি ৬শ টাকা দরে। যদি হাটে পশুর দাম কমে যায় তাহলে মাংসের দামও অটোমেটিক কমে যাবে। এখানে কোন ধরনের কারসাজি বা সেন্ডিকেট কাজ করে না।