দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৮ নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে কৌতুক অভিনেতা শামিনুর রহমান ওরফে চিকন আলীসহ পাঁচ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। স্থগিত রাখা হয়েছে একজনের। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রিটার্নিং অফিসার ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা তার সভাকক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাই শেষে এই ঘোষণা দেন।
বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ডিএম মাহবুব-উল মান্নাফ শুভ, বিএনএমের জাবেদ আলী, এনপিপির স্বপন কুমার দাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ হোসেন। এই আসনে অপর ছয় জনের জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের এমপি আলহাজ¦ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম স্বতন্ত্র প্রার্থী, এই আসনের সাবেক এমপি বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান সদ্য প্রয়াত ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী মাহফুজা আকরাম মায়া চৌধুরী স্বতন্ত্র, আওয়ামী লীগের নতুন মুখ সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী সৌরেন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোহেল কবির চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মাসুদ রানা ও জাকের পার্টির আলাল হোসেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, চিকন আলীর এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকায় ক্রমিক নম্বর ঠিক না থাকায়, ফিরোজ হোসেনের একই তালিকায় ক্রটি থাকায়, ডিএম মাহবুব-উল মান্নাফ শুভর এই তালিকার পাঁচজন স্বাক্ষর করেননি বলে সাক্ষ্য দেওয়ায়, জাবেদ আলী নিজেই প্রস্তাবকারীর ঘরে স্বাক্ষর করায় ও সমর্থকের ঘর ফাঁকা রাখায় এবং স্বপন কুমার দাসের হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা ও আয়কর বিবরনী তথ্য জমা না দেওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
চিকন আলী বলেন, ‘মনোনয়পত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকায় যে ১ থেকে ৪২০০ ক্রমিক নম্বর আছে সেখানে ভূল দেখিয়ে আমার মনোনয়ন বাতিল করেছে। সেখানে ১ থেকে ১৪ ঘর আছে আমি সেটা দেখে পূরণ করেছি। সেখানে ১ থেকে ৪২০০ লেখার মতো কোনো জায়গা ছিলো না। আবার কোথাও লেখাও ছিলো না যে ১ থেকে ৪২০০ পর্যন্ত লিখতে হবে। এ কারণে আমি ১ থেকে ১৪ লিখে জমা দিয়েছি। এই বিষয়টি খুব বড় বিষয় নয় বলে আমি মনে করি।’
বিকেলে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক গোলম মওলা নওগাঁর ছয়টি আসনের যাচাই বাছাইয়ের ফলাফল ঘোষণা করে আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে নির্বাচন বিধি মেনে বৈধ প্রর্থীদের নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনার অনুরোধ জানান। যদি কোন প্রার্থী নির্বাচনী আচরনবিধি না মানেন তাহলে অভিযোগ পেলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান। এসময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।