এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ২৫ জনের প্রাণ গেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের মা’ন বিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার হামলার এ ঘটনা ঘটে। যুদ্ধের কারণে ওই স্কুলটিতে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে প্রচুর মানুষ আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মোহাম্মেদ সালোউ নামের একজন জানান, তার বোন এই হামলা নিহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, শুধু স্কুল নয় আশপাশের এলাকাগুলোও হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
খান ইউনিস গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। গত বেশ কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই শহরটিতে তীব্র বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শহরটির অনেক জায়গায় ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করেছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) খান ইউনিস এবং কেন্দ্রে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় আরও ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আগের দিন সোমবার (৪ ডিসেম্বর) উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দু’টি স্কুলে বোমা বর্ষণ করেছিল ইসরায়েল, সেই অভিযানেও নিহতের সংখ্যা ছিল ৫০ জন।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা—ওসিএইচএ বলছে, অবরুদ্ধ ও সংকীর্ণ গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে চলমান যুদ্ধে ৮০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেছে ১৬ হাজার মানুষের। গাজায় নির্বিচার হামলায় ৬০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এ যুদ্ধ গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। দুই ধাপে তা তিন দিন বাড়ানো হয়। তবে গত শুক্রবার সকালে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলে উভয়পক্ষের মধ্যে ফের তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।