দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপর বিদেশীদের কোন চাপ নেই এবং চাপ দেওয়ার কোন অধিকারও তাদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোঃ আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বলতেও সংবিধানে কোন সরকার নাই।
৬ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ১১ টায় জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা জেলার রিটার্নিং অফিসার মো. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান(বিপিএম) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর জেলা প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো চাপ আছে কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ দেওয়ার অধিকার কারও নেই। আমাদের ওপর কোনো চাপও নেই। বিদেশিরা আমাদের কাছে জানতে চায়, যেভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং সুন্দর হয় সেসব পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি কি’না।
নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন অনেকেই আচরণ বিধি পড়েন না,আচরণবিধি ভঙ্গের কারণগুলো অনেকেই কী করলে আচরণবিধি ভঙ্গ হয় ভালোভাবে জানেন না। কোন প্রার্থী যদি বারং বার আচরণবিধি ভঙ্গ করেন, তাকে আর ক্ষমা করা হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার,তা’সবই করা হবে বলে জানান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে নির্বাচনে আসলো কে আসলো না তা নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই। নির্বাচন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের নিয়ম মেনে সবকিছু করার সুযোগ থাকবে। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা হলে সেসব বিষয় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিবে। তিনি,আরো বলেন ‘ভোট কেমন পড়বে এ বিষয়টা যদি ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারি,ভোটাররা যদি অবাধে ভোটকেন্দ্র যেতে পারে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোটের নির্বাচনের প্রচার করতে পারে এজন্য এখানে এসেছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন না এমন কোনো খবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নেই।’
১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুমতি না দেওয়া এবং বিএনপির কর্মসূচি বহাল থাকার বিষয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আছে তাই নির্বাচন আচরণবিধি প্রযোজ্য। বিএনপি আমাদের কাছে অনুমতি চায়নি, সভা সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি চাইতে পারে। ওটা পুলিশের বিষয়। পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যস্ততা বাড়বে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের কারণও হতে পারে, তাই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান।