ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক সক্রিয় কর্মীকে থানায় ডেকে নিয়ে ১০ ঘন্টা আটকে রেখে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক এসআই’র বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে আটক ওই আওয়ামী লীগ কর্মীর কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দত্তেস্বর গ্রামের।
বুধবার দুপুরে ওই গ্রামের সালাম সিকদারের ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী সুমন সিকদার অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে আমি আমার চাচা মিজান সিকদারের কাছ থেকে বসতবাড়ির ১৩ শতক জমি সাব-কবলা দলিলমূলে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছি। ওই জমির ওপর একটি ছাগলের খামার স্থাপনসহ গাছপালা রোপন করা হয়েছে। অতিসম্প্রতি জমি বিক্রেতা মিজান সিকদার তার ভোগদখলীয় জমির মধ্যে জমি পাবে বলে দাবি করে আসছে। এ ঘটনায় তার (মিজান) সাথে আমার বিরোধ চলে আসছে।
সুমন সিকদার আরও অভিযোগ করেন, ওই বিরোধের জেরধরে ক্রয়কৃত জমিতে থাকা ছাগলের খামার উচ্ছেদ করার জন্য মিজান মোটা অংকের টাকা অর্থের বিনিময়ে গত কয়েকদিন থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হানিফের মধ্যস্থতায় শোলক ইউনিয়নের বীট অফিসার উজিরপুর মডেল থানার এসআই আবু মুসার সাথে যোগসাজস করে আমাকে (সুমন) বিভিন্নধরনের হয়রানি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে উজিরপুর মডেল থানার এসআই আবু মুসা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হানিফ আমার বাড়িতে এসে জানায় থানার ওসি আমাকে যেতে বলেছেন। পরে আমি তাদের সাথে থানায় যাই। সেখানে আমাকে কোন অভিযোগ ছাড়াই থানার সেলে ১০ ঘন্টা আটকে রেখে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় এসআই আবু মুসা। পরবর্তীতে আমার কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে তিনদিনের মধ্যে ছাগলের খামার সরিয়ে ফেলার মৌখিক নির্দেশ দিয়ে ছেড়ে দেয়। ওই নির্দেশ অমান্য করলে আমাকে নাশকতা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে এসআই আবু মুসার ব্যবহৃত (০১৭৩১-৭৩৭৫২২) মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে থানায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার (ওসি) মোঃ জাফর আহমেদ জানিয়েছেন, জমি অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মিজান সিকদার। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দুইপক্ষকে থানায় ডেকে আনার পর স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিলো। তারপরেও স্থাপনা না সরানোর কারণে সুমনের বিরুদ্ধে পূর্ণরায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার চাচা মিজান সিকদার। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে আনার পর সম্মিলিতভাবে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।