বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে যেমনি একজন সাংবাদিকের দক্ষতা প্রমাণিত হয়, তেমনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মঙ্গলবার রাতে শরণখোলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ একথা বলেন।
সাংবাদিকদেন প্রশ্নের জবাবে বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার সাংবাদিক বান্ধব। এই সরকারের আমলেই সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। করোনাকালীন কোটি কোটি টাকা প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর অসুস্থ সাংবাদিকদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে পিআইবর মাধ্যমে আবাসিক-অনাবাসিক সব ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে।
আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী বদিউজ্জামান সোহাগ আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার নির্বাচনী এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়া সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের বিকাশ, বেকারত্ব দূরিকরণে পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়ে তোলাসহ বর্তমান সরকারের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সবকিছু করা হবে। এজন্য উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আমি সাংবাদিকদের ইতিবাচক ভূমিকা আশা করি। সাংবাদিকদের জীবন-মান উন্নয়নে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সহসভাপতি মইনুল ইসলাম টিপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কালাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন বাদশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর জব্বার, রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহম্মেদ রুমি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান স্বপন।
সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তৃতা করেন শেখ মোহাম্মদ আলী, নজরুল ইসলাম আকন, আমিনুল ইসলাম সাগর, হুমায়ুন কবির, মিজানুর রাকিব, আনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান আকন, সাবেরা ঝর্ণা, মাহফুজুর রহমান বাপ্পি, শাওন হোসেন প্রমুখ।