টাঙ্গাইলে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের স্বার্থে হয়তো প্রতিযোগিতার জন্য বলেছেন ডামি প্রার্থী হতে। কিন্তু তিনি বলেন নাই, নৌকা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী বা অন্য প্রার্থীর জন্য কাজ করতে। নৌকার বাইরে যারা নির্বাচন করছে, আমার দৃষ্টিতে তারা অবশ্যই বিদ্রোহী প্রার্থী। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, নেতাকর্মীদের দল বা নৌকার বাইরে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। যারা দলের আদর্শ মেনে চলে তাদের অবশ্যই নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। এই নৌকাকে আমরা বলি হক ভাসানীর নৌকা, এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর নৌকা, এই নৌকা আওয়ামী লীগের নৌকা, এই নৌকা শেখ হাসিনার নৌকা। তাই নৌকার বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, দল থেকে বহিষ্কার হওয়া একটি বিষয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, দলের আদর্শের প্রতি অটুট থেকে, অবিচল থেকে, কমিটেড থেকে আদর্শের জন্য কাজ করা। নৌকা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতীক, অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে কোনো সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে কোনো দিন আপোষ করেনি। আমরা চাই ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। একটি সুন্দর সুষ্ঠু আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ। মন্ত্রী বলেন, আমরা সামনের দিনে কীভাবে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করবো, আবার আগের ধারায় শক্তিশালী করবো, সেই বিবেচনা রেখে নির্বাচনে যাচ্ছি। জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে দল ও নৌকার প্রার্থীকে বিজয় করা যায়। আমাদের সাফল্যের, অর্জনের ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক কীভাবে মানুষের মাঝে তুলে ধরবো তা নিয়ে আলোচনা করবো। তিনি আরও বলেন, আমাদের কী উদ্দেশ্যে, কী অঙ্গীকার ও কী লক্ষ্য তা নিয়ে আলোচনা করবো সভায়। কৃষি, শিক্ষা, সেবা প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে চাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আনছারী প্রমুখ।