ভারতের জাতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এই বিদ্যুৎ আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এদিকে দেশে আরো তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ, সৈয়দপুরে ১৫০ মেগাওয়াট সিম্পল সাইকেল কেন্দ্রের ভেরিয়েশন এবং কক্সবাজারে ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রস্তাবের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে বছরে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা। এই বিদ্যুৎ আনতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার এইচভিডিসি সাবস্টেশন ব্যবহার করা হবে।
এই সাবস্টেশনের এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার সক্ষমতা রয়েছে। তবে বর্তমানে এই সাবস্টেশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে।
বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে গত মে মাসে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, নেপালের ত্রিশুলি প্রকল্প থেকে ২৪ মেগাওয়াট এবং অন্য একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৬ মেগাওয়াটসহ মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা।
বাংলাদেশের ভেড়ামারায় জাতীয় গ্রিডে এই বিদ্যুৎ আসবে ভারতের বহরমপুর সঞ্চালন লাইন দিয়ে। এই বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও নেপালের পক্ষ থেকে ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বেসরকারি খাতে পাওয়ার জেনারেশন নীতি অনুযায়ী টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য যৌথভাবে রিনিউয়েবল ইলেকট্রিসিটি লিমিটেড ইউকে, বাদল কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং জিটেক সলিউশন লিমিটেডকে ২০ বছর মেয়াদে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে কম্পানিগুলোকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০.৯৯ টাকা হিসেবে আনুমানিক তিন হাজার ৫৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।