বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলা বিএনপি অফিসে ঝুলছে তালা। কেন্দ্র বিএনপি লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করলেও দলীয় অফিসে নেই নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের সংঘর্ষ ও একই দিন সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড বঙ্গবন্ধু চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত ১৮ নভেম্বর রাতে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার ইউসুবপুর এলাকায় চলন্ত ট্রাকে আগুন দেয় একদল দূর্বৃত্তরা। এঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের অজ্ঞাত ২৮০ জনকে আসামী করে নন্দীগ্রাম থানায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। সেইসব মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৯ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে। যার ফলে অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামির তালিকা থেকে যে কোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন– এমন আতঙ্কে গা-ঢাকা দিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। অনেক নেতারা ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ রেখেছেন। আর যারা জামিনে মুক্ত ছিলেন তারাও পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা করছেন। যার কারণে একমাস ধরে বিএনপি অফিসে তালা ঝুলছে। কোনো নেতাকর্মী দলীয় অফিসে আসছে না, খুলছেও না। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কোনো কর্মসূচি প্রকাশ্যে পালনও করতে দেখা যায় নাই। নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকারসহ অনেকের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজমগীর হোসাইন বলেন, নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। যারা নাশকতার সাথে জড়িত তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য প্রমানের উপর ভিত্তি করে আসামি ধরা হচ্ছে।