ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলিউডের বর্ষীয়ান কৌতুক অভিনেতা নঈম সৈয়দ। সিনেমার অঙ্গনে তিনি ‘জুনিয়র মেহমুদ’ নামেই বেশ পরিচিত। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের সংবাদে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই পাকস্থলী ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। উন্নমানের চিকিৎসাও চলছিল তার। তবে শেষরক্ষা হলো না এ অভিনেতার। বৃহস্পতিবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয় বলে জানা যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সকালে মুম্বাইয়ের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তার। প্রথম ‘মহব্বত জিন্দেগি হ্যায়’ সিনেমার হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন নঈম। সালটা ছিল ১৯৬৬। এরপরে ১৯৬৭ সালে সঞ্জীব কুমার, বলরাজ সাহানী ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘নৌনিহাল’ সিনেমায় শিশু অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন নঈম। সেটাই ছিল তার অভিনয় জীবনের শুরু। শুরু থেকেই কৌতুক অভিনেতা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন নঈম সৈয়দ। তবে অভিনয় দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে নিজের এই নাম বদলে ফেলেছিলেন তিনি। পছন্দমতো নামকরণ করেন নিজেই। জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা মেহমুদের নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের নাম রেখেছিলেন জুনিয়র মেহমুদ। পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনে ২৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন নঈম সৈয়দ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় সিনেমাগুলো ছিল ‘হাতি মেরে সাথী’। ‘মেরা নাম জোকার’, ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘পরওয়ারিশ’, ‘দো অর দো পাঁচ’ ইত্যাদি। তবে কেবল মাত্র নিজের অভিনেতা পরিচয়ে সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি। বেশ কয়েকটি মারাঠি সিনেমাও পরিচালনা করেছিলেন নঈম। দেশ ও বিদেশে বহু অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন এ অভিনেতা। অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিনই বাড়িতে ছিলেন নঈম। মৃত্যুর আগে দেখা করার ইচ্ছা ছিল জিতেন্দ্র এবং সচিন পিলগাঁওকরের সঙ্গে। একসঙ্গে একাধিক সিনেমায় কাজ করেছিলেন তারা। এর আগে নঈমের বাড়ি গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন বলিউডের আরও এক কৌতুক অভিনেতা জনি লিভার। সেই সময় প্রকাশ্যে এসেছিল জনি ও নঈমের ছবি। জুনিয়র মেহমুদের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন দুনিয়া।