নীলফামারী জেলার মধ্যে ঢেলাপীর একটি বড় হাট। সপ্তাহে শুক্র ও মঙ্গল দুদিন হাট বসে। এ হাটকে কেন্দ্র করে চারপাশে পড়ে রয়েছে সরকারি কয়েক হাজার একর জায়গা।
এ জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে যুগ যুগ ধরে। সম্প্রতি ওই এলাকার কতিপয় দালাল চক্র সরকারি জায়গায় প্রথমে নির্মাণ করে কাঁচা দোকান ঘর। এরপর ওই কাঁঁচা দোকান রাতের অন্ধকারে পাকাকরণ কাজ করে। পাকা হওয়ার পর ওই দোকান ঘর বিক্রি করছে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। এগুলো ক্রয় করছে আবার এলাকারই কতিপয় ব্যক্তি। কোন প্রকার কাগজ ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলো। তবে কথা রাখতে শুধু একটি স্ট্যাম্পে লেখালেখি হয়ে থাকে।
হাটের চারপাশে সরকারি জায়গায় দোকান নির্মাণ করে এ বেচা বিক্রি দীর্ঘদিন থেকে চলে আসলেও দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ কেন যেন নীরব ভুমিকায়।
হাটের জায়গা দখল ও বিক্রির পাশাপাশি এবার দখল করা হচ্ছে সরকারের পড়ে থাকা ফাঁকা জায়গা। ইতিমধ্যে কয়েক একর জায়গা দখলকারিরা দখল করে সাধারণ মানুষের কাছে ১০ হাজার থেকে শুরু করে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করছে। দালালচক্র এভাবে সরকারি জায়গা দখল ও বিক্রি করে অনেকেই হয়েছে লাখ লাখ টাকার মালিক। এলাকার প্রভাবশালি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না।
ঢেলাপীর এলাকায় এভাবে সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে ঘরবাড়ী।
কয়েক একর জমিতে ঘরবাড়ী গড়ে তোলা হয়েছে।
বিক্রিকালে দালালচক্র বলছে সরকার যখন উচ্ছেদ করবে তখন তোমাদের মোটা অংকের টাকা ও জমি দিবে।
সরকারি জায়গা দখল ও ঘরবাড়ী নির্মাণ বিষয়ে ওই এলাকার ভুমি অফিসের এক ব্যক্তি বলেন, সরকারি জায়গা কতিপয় দালালচক্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পজেশন বেচা বিক্রি করছে। তারা প্রভাবশালি হওয়ায় আমরা কথা বলতে পারি না। অবৈধভাবে যারা বিক্রি করছে এবং যারা ঘরবাড়ী নির্মাণ করছে তাদেরকে আমরা বেশ কয়েকবার নোটিশ করেছি। তাতে কোন কাজ হয়নি। বরং সরকারি জায়গা নোটিশের পর আরো বেশী করে দখল করছে তারা। এ ব্যাপারে কোন কিছু বলতে গেলে নিজেকে অপমানিত হতে হয়।
সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কোজ বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন জানা নেই। তবে যদি এমন কাজ কেউ করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।