২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন রাশিয়া এবং বেলারুশের অ্যাথলেটরা। নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসাবে প্যারিসের আসরে এই দুই দেশের অ্যাথলটেদের খেলার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন অলিম্পিক প্রধানেরা। অবশ্য এই সবুজ সংকেতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কিছু কঠিন শর্তও। দলীয় ইভেন্টের বাইরে অংশ নিতে পারবেন রুশ এবং বেলারুশদের অ্যাথলেটরা। তবে এক্ষেত্রে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে সমর্থন দিতে পারবেন না তাঁরা। ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই উদ্বোধন হবে প্যারিস অলিম্পিকসের। আর পর্দা নামবে ১১ আগস্ট। এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার ৮ জন এবং বেলারুশের তিনজন অ্যাথলেট নিরপেকক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসাবে প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি(আইওসি)। ইউক্রেনের অ্যাথলেটদের সংখ্যা অনেক বেশি। এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৬০ জন ক্রীড়াবিদ প্যারিস অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। গত মার্চে রাশিয়া ও বেলারুশের অ্যাথলেটদের ওপর থেকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় আইওসি। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে সমর্থন নেই এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই এমন দুটি শর্তে নিরপেক্ষ অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয় এই দুই দেশের ক্রীড়াবিদদের। গত অক্টোবরে রাশিয়া অলিম্পিক কমিটিকে নিষিদ্ধ করেছিল আইওসি। এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টে (সিএএস) আপিল করেছে রাশিয়ার অলিম্পিক কমিটি। আইওসি নির্বাহী বোর্ডিএক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘যেসব নিরপেক্ষ অ্যাথলেট আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলোর (আইএফএস) বর্তমান বাছাইপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করেছেন, তাঁদের ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের জন্য যোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হবে।’ পাশাপাশি কঠিন শর্তগুলোও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া ও বেলারুশের পাসপোর্টধারী অ্যাথলেটদের কেউ দল’ হিসেবে প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন না। সক্রিয়ভাবে যুদ্ধকে সমর্থন দেওয়া অ্যাথলেটরাও প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন না। রাশিয়া ও বেলারুশের সামরিক বাহিনী কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ অ্যাথলেটরাও অংশ নিতে পারবেন না প্যারিস অলিম্পিকে। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের কোনো অফিশিয়াল অনুষ্ঠান কিংবা ভেন্যুতে রাশিয়া ও বেলারুশের পরিচয়যুক্ত জাতীয় সংগীত, পতাকা প্রদর্শন করা হবে না। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না রুশ এবং বেলারুশ সরকারের কোনো অফিশিয়ালকেও। আইওসির এই সিদ্ধ্ন্তাকে বৈষম্য মূলক বলছে রাশিয়া। এএফপি