উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে মাত্র একদিনের ব্যবধানে মূল কাটা বা আগাম আবাদ করা পেঁয়াজের দাম কমেছে মণপ্রতি ১হাজার টাকা থেকে ১৫‘শ টাকা। এতে ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিলেও পেঁয়াজ চাষীরা হতাশ।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, গত রোববার উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে প্রতিমণ মূল কাটা বা আগাম আবাদ করা পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৪৫০০টাকা থেকে ৫হাজার টাকা দরে। এ সময় হাট-বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০টাকা দরে। অথচ মাত্র একদিনের ব্যবধানে গতকাল সোমবার প্রতিমণ পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়ে ৩৫‘শ থেকে ৪হাজার টাকা দরে। এ হিসেবে প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম কমেছে ১হাজার টাকা থেকে ১৫‘শ টাকা। আর বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। পেঁয়াজ বাজারের এই ভেলকি বাজিতে পেঁয়াজ চাষী এবং ভোক্তারা হতাশ। উপজেলার মানিকদীর গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৪০/৫০টাকা হলে আমাদের জন্য ভাল হয়। তবে উপজেলার চরসুজানগর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী ফজলুর রহমান বলেন উৎপাদন খরচ অনুযায়ী প্রতিকেজি পেঁয়াজ কম পক্ষে ৭০ থেকে ৮০টাকা দরে বিক্রি করা প্রয়োজন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবরে দেশি মূল কাটা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২/৪দিনের মধ্যে বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে।