লাগাতার দুইদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টির ফলে উত্তরের ভারত সীমান্ত ঘেষা দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। গত কয়েক দিন থেকেই ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডায় শিশু বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের মানুষজন নিপতীত হয়েছে। শীত নিবারনের প্রয়োজনীয় বস্ত্র না থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা পরেছে চরম সংকটে। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে ঠিকমত কাজকর্মও করতে পারছে না অনেকে। যতই দিন যাচ্ছে ততই শীতের প্রকোপ বাড়ছেই। গত শুক্রবার ভোর থেকেই ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে এ অঞ্চল।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমের শুরুতে দেশের উত্তরাঞ্চলের এ জেলায় আবহাওয়া বিরাজ করছিল ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। নিম্নচাপের ফলে গত ৭ ও ৮ ডিসেম্বর অসময়ের বৃষ্টিপাত হয়। দিনাজপুরে ৭ ডিসেম্বর ৪ দশমিক ২ মিলিমিটার ও ৮ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ১০ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। দিনাজপুরে এটিই এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিন বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
গুগল এর তথ্যমতে, ১১ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৬ টায় তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, ভোর ৩টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, রাত ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ছিল ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, রাত ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ছিল ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, রাত ৮টা থেকে থেকে ৯ টা পর্যন্ত ছিল ১৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এছাড়া সকালে ঘন কুয়াশার প্রকোপে সূর্যের দেখা মিলছে অনেক দেরীতে এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার অনেক পূর্ব থেকে বিকেলে কুয়াশা নামতে থাকে। এর ফলে শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়ের প্রয়োজনীতা দেখা দেয়। শীতার্ত মানুষের শীত নিবারনে এখনও তেমন কারও দেখা মিলেনি।