গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, চাঁদাবাজ, নেশাখোর ও কুচক্রীমহলে হাতে পুরো টঙ্গী শহর জিম্মী হয়ে পড়েছে। তারা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত টঙ্গীর মিল-কারখানাগুলো লুটেপুটে খাচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনের জনমানুষের প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন। আগামী নির্বাচনে যদি আমাদের প্রার্থী জয়লাভ করে তাহলে টঙ্গীকে চাঁদাবাজ ও নেশামুক্ত করা হবে। আমাদের সাথে কোনো নেশা বিক্রেতা থাকবে না; আমরা কোনো নেশা বিক্রেতাকে প্রশ্রয় দিবো না। কেউ কোথাও নেশাদ্রব্য বিক্রি করলে বিষয়টি জানতে পারলে তাকে সাথে সাথে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে। তিনি বলেন, টঙ্গীতে কারা কারা মাদক বিক্রি করে এবং কারা মাদককারবারীদেরকে শেল্টার দেয় তা আমরা জানি। তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। তিনি মাদককারবারী শেল্টারদাতাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টঙ্গীর কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় মাদক বিক্রি হচ্ছে। আপনারা নেশাদ্রব্য বিক্রি বন্ধ করে আমাদের ছেলে-মেয়েদের বাঁচান। তাদেরকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচান। মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গী হোসেন মার্কেট এলাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্র্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করেন। অবিভক্ত টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলীর সভাপতিত্বে ও পুর্ব থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এম এম নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাজীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ মাসুদুল হাসান বিল্লাল, টঙ্গী পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এমএম হেলাল উদ্দিন, টঙ্গী থানা যুবলীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার মোল্লা, টঙ্গী পুর্ব থানা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান সেলিম, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম দিপু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নূরনবী আনছারী নবীন, শহিদ গাজী, গাজী আজিজুল হক, রঞ্জুল ইসলাম রঞ্জু, খলিল গাজী, কাজী কামরুল, হাজী ইয়াাছিন মিয়া, কামাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, হাজী আবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, টুটুল সরকার ও কাজী সোহেল প্রমুখ।