রাজশাহীর পবায় জমি জবর দখল ও আম গাছ কর্তৃনের সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নগরীর হেতমখাঁ লিচুবাগান এলাকার মো. শামীম উদ্দিন শেখ স্বপন বলেন, আমার পিতা নমির উদ্দিন জীবীত অবস্থায় আমাদের তিন ভাই মো. সবুর উদ্দিন শেখ ডাব্লু, সের মোহাম্মদ শেখ সিরু ও মো. শামীম উদ্দিন শেখ (স্বপন) বরাবর বায়া মোজা (ভুগরোইলের মোড়, এয়ার পোর্ট থানার পাশে), আর.এস খতিয়ান নং: ৯৬, আর.এস দাগ নম্বর: ১৪০, পরিমাণ: ২.৩৭ একর জমি ১৯৮৯ সালে আমাদের বরাবর দলিল মুলে হস্তান্তর করেন। আর ওই দলিলের গ্রহিতা আমার ভাই সের মোহাম্মদ সিরু গত ২০০৮ সালে মারা গেলে তার ওয়ারিশ থাকে দুই নাবালক পুত্র মো. শাহারিয়ার শিশির রাব্বি ও সিয়াম নুর আরাফাত রাফি এবং তাদের মা বিউটি ফারজানা মুক্তি। এ অববস্থায় ওই সম্পত্তি খারিজ করার প্রয়োজনে তাদের মা বিউটি ফারজানা মুক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি যেহেতু আরেকটি বিয়ে করে ভিন্ন সংসার করছি। সে কারণে আমার দুই সন্তানের নামে ওই সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ খারিজ করে দেন। ফলে দলিল মুলে আমরা গত ২০২০ সালের ১৮ মার্চ যৌথ খারিজ করি। আর মায়ের আগে পুত্র মারা যাত্তয়ায় ওই পুত্রের ১ এর ৬ ভাগ আইনগত মৃত ব্যক্তির মা প্রাপ্ত হওয়ায় মেহেরুন নেসার নাম সেই খারিজে অন্তভুক্ত হয়। আর ওই সম্পত্তি খারিজ অন্তে অনান্য ভাই, মা এবং নাবালকদের সঙ্গে যৌথভাবে ভোগ দখল করাকালে আমি উক্ত সম্পত্তির উপর আমগাছ সহ অন্যান্য গাছ রোপন করি। পরে গাছ বড় হয়ে ফল ধরলে যৌথভাবে ভোগদখল করি। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমাদের নত্তদাপাড়ায় আরেকটি জায়গায় নাবালক রাফির অংশের উপর একটি একতালা বাড়ি নির্মান করা হয়। রাফির মা বিউটি ফারজানা মুক্তি অন্যত্র স্বামীর সংসার ত্যাগ করে নির্মানাধীন ওই বাড়িতে কিছুদিন আগে বড় ছেলে রাব্বিকে নিয়ে বসবাস করতে চাইলে আমরা বসবাসের অনুমতি প্রদান করি। কিছুদিন পর দাওয়াত খাওয়ার নাম করে আমার বাড়ি থেকে ছোট ছেলে রাফিকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে রাফিকে সেখানেই রেখে দেয় এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়না। আর যেহুতু তারা সংসার আলাদা করার কারণে শহরের জমিগুলো নাবালকসহ অন্যান্য ওয়ারিশদের মধ্যে বন্টননামা করে দেয়া হয় এবং অবশিষ্ট বায়া মৌজার সম্পত্তিটি সদর সাব রেজিস্টারের আওতাধীন না থাকায় পবা রেজিষ্ট্রারের এলাকাধীন হত্তয়ায় উক্ত সম্পত্তিটি পবা রেজিষ্ট্রি অফিসে বন্টননামা করে নেয়ার জন্য রাব্বি ও রাফির মাকে জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাফির বাড়ি যে স্থানে সেস্থানে আমার বড় বোনের বাড়ি হত্তয়ায় আমার বড় বোন রিনা রাব্বি ও রাফির মাদেরকে উসকানিমূলক কথা বলায় তারা বন্টননামা করতে না এসে তারা জোরপুর্বক আমার বোনের ছেলে ও রাব্বি উক্ত সম্পত্তি জোরপুর্বক দখলে যাত্তয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানায় একাধিকবার বসা হলেও কোন সমাধান না হত্তয়ায় আমি পবা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ২৬৩/২০২৩ অঃ প্রঃ মোকদ্দমা দায়ের করি। যা বর্তমানে চলমানধীন আছে। এমতবস্থায় গত ৬ ডিসেম্বর নগরীর শাহমখদুম থানাধীন ভুগরোইল এলাকার মৃত জফির উদ্দিনের ছেলে মো. জয়নাল আবেদিন জয়নাল তার পালিত সন্ত্রাসী বাহীনী নিয়ে জোরপুর্বক আমাদের আমবাগান হতে ৮টি বড় আম গাছসহ কিছু বাঁশ কেটে ফেলে। বিষয়টি জানার পর আমি ও আমার ভাই সবুর উদ্দিন তাদেরকে বাঁধা প্রদান করলে তারা দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমাদেরকে এলোপাথারি কিল ঘুষি মারলে আমাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে। আমরা বাড়িতে ফিরে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এয়ারপোর্ট থানায় স্মরনাপন্ন হলে এয়ারপোর্ট থানাটি অভিযুুক্ত জয়নালের ভাইয়ের বাড়ি হত্তয়ায় খানায় কর্মরত কর্মকর্তা মামলা নিতে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অস্বীকার করে। পরে এ ব্যাপারে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- অভিযুক্ত জয়নালের বিরুদ্ধে চাকুরী দেয়ার নামে টাকা নেয়া, জমি-জমা দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে স্বপনের ভাই মো. সবুর উদ্দিন শেখ ডাব্লু উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে জয়নাল আবেদিন জয়নালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সের মোহাম্মদ শেখ সিরু অংশ তার সন্তানদের কাছ থেকে কিনেছি। কত পরিমান জমি কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের মোট সম্পত্তিবর ৩ ভাগের এক ভাগ কিনেছি। আপনি ভাগ করে নেন তাহলে পাবেন। ক্রয়কৃত সম্পত্ত্বির পরিমান জানতে চাইলে বলেন, আপনার জানা নাই, ভাগ করে বের করতে হবে। এ সময় জমি ত্তয়ারিশদের মধ্যে বাটোয়ারা না হত্তয়ার পরেও কিভাবে কিনলেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার কাছে সোলেনামা আছে, এয়ার পোর্ট থানায় বসে মিমাংসাও হয়েছে। যার কপি আমার কাছে আছে। আর গাছ স্বপনরাই কেটেছে, আমি লোক ঠিক করে দিয়েছি মাত্র।