গত (৫ ডিসেম্বর) সুলতানগঞ্জ পাড়া স্বদেশ হাসপাতাল রোডে আরজু ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে সামনে রাত সাড়ে দশটার সময় এলোপাতাড়ি হাসুয়া ও এসএস পাইপের আঘাতে খুন করা হয় ছাত্রলীগ নেতা আরিফকে। হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নিশিন্দারা পূর্ব খাঁ পাড়ার মিলু শেখের ছেলে সাকিব শেখ ও সানমুন শেখ ওরফে সালমন এবং একই এলাকার হাতেম আলীর ছেলে হিমেল শেখ। এবং হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত হাসুয়া ও এস এস পাইপ হত্যাকাণ্ডের দিন রাতেই উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। জেলা পুলিশের পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার জানান, আরিফের ভাগ্নে মুহিমের সাথে কথা-কাটাকাটির জের ধরে গত (৭ অক্টোবর) সাকিবকে চাকু মেরে গুরুতর আহত করে আরিফ। এ ঘটনায় সাকিবের বাবা মিলু বাদী হয়ে আরিফকে প্রধান আসামি করে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৮ দিন জেল হাজতে থাকার পর আরিফ জামিনে বের হয়ে আসে। এইদিকে জামিনে বের হওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাকিব ও তার সঙ্গীরা মিলে আরিফকে (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরিফকে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে তারা দ্রুত পালিয়ে যায় সাকিব ও তার সঙ্গীরা। জেলা পুলিশের পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার আরোও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা বগুড়ার পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাট বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে। শেষমেষ তারা হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতের পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হলে সাকিব ও তার সঙ্গীরা ঢাকার কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নেয় সেখান থেকে তারা তাবলীগ জামাতের মুসল্লি সেজে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে আত্মগোপন করবে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া সদর থানার টিম, এন্টি টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় সাকিব ও তার সঙ্গীদেরকে কাকরাইল মসজিদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাথে জড়িত বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।