ভিন্ন ব্যক্তির এনআইডি ব্যবহার করে সীম ও বিকাশ/নগদ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে ভূয়া পরিচয়ে নানা প্রলোভন দিয়ে কৌশলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহণ ও আত্মসাৎসহ নানা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলাধীন কাঠালী মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত জিয়াউর রহমানের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (২১) ও একই উপজেলার উল্টর কাজীরহাট এলাকার তবিবর রহমানের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৯)কে গ্রেফতার করে পিবিআই পুলিশ। তাদের নিকট হতে ভিন্ন ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত ১৪৪ টি বিভিন্ন অপারেটরের মোবাইল সীম উদ্ধার করে। পিবিআই, রংপুরের পুলিশ সুপার জনাব এবিএম জাকির হোসেন গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রামের অতি সহজ সরল লোকদের নিকট হতে এনআইডি ও একাধিক টিপসহি গ্রহণ করে তাদের নামে সর্বোচ্চ সংখ্যক সীম রেজিস্ট্রেশন করে একটি সীম উক্ত ব্যক্তির নিকট সরবরাহ করে অবশিষ্ট সীম প্রতারক চক্রের নিকট অধিক দামে বিক্রি করাসহ বিকাশ এবং নগদ একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা কৌশলে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের ঘটনার সংবাদের প্রেক্ষিতে পিবিআই পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। তার প্রেক্ষিতে একটি চৌকস টিম রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নীলফামারী জেলার জলঢাকা এলাকা হইতে দুইজনকে গ্রেফতার করে। তাদের নিকট হতে ভিন্ন ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত ১৪৪ টি বিভিন্ন অপারেটরের মোবাইল সীম উদ্ধার করে। আটককৃত ব্যক্তিদ্বয় আরো অজ্ঞাতনামা প্রতারক চক্রের সদস্যসহ ভিন্ন ব্যক্তির এনআইডি ব্যবহার করে সীম ও বিকাশ/নগদ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে ভূয়া পরিচয়ে নানা প্রলোভন দিয়ে কৌশলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহণ ও আত্মসাৎ করে প্রতারিত করছে। তিনি বলেন, উক্ত প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন হতে বিকাশ/নগদ একাউন্টের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে প্রতারণাকরে আসলেও এই প্রথম পিবিআই রংপুর তাদেরকে গ্রেফতার করে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার ও আইননুগ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।