দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ছিটকে গেলেন তাজউদ্দীন আহমদের ভাগিনা আলম আহামেদ। বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানিতে ঋণ খেলাপী হওয়ার কারণে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে তার প্রার্থিতা বাতিল করে।
গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া ১৯৭ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা ও শিল্পপতি আলম আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রার্থীদের মনোনয়ন বাছাইকালে ঋণ খেলাপী হওয়ার কারণে তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন। বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে তিনি আপীল করেন।
আলম আহমদের কাছের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, আমরা আপিল করে ন্যায় বিচার পাইনি। এ জন্য আমরা হাইকোর্টে যাবো।
এদিকে আলম আহমেদের মনোনয়ন বাতিল হওয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। প্রার্থিতা ফিরে না পাওয়ার বিষয়ে একটি মহল নিশ্চিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও মনোনয়ন ফিরে না পাওয়ায় গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া আসনের সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা কিছু লিখছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বর্তমান এমপি সিমিন হোসেন রিমি'র বিপক্ষে শক্তিশালী আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। যার ফলে নির্বাচনে তার বিজয়ী হওয়া সুনিশ্চিত। তবে যদি আলম আহমেদের মনোনয়ন বৈধ হতো তাহলে হয়তো এই আসনে নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতো বলে মনে করেন সুধীজনেরা।
আসন্ন নির্বাচনে কাপাসিয়ায় মোট ৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ রয়েছে। বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বর্তমান এমপি সিমিন হোসেন রিমি, জাকের পার্টি প্রার্থী জুয়েল কবির এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুল হক, জাতীয় পার্টির সামসুদ্দিন খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মাসুদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বিএনএফ) র প্রার্থী. সারোয়ার ই কায়নাত, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আব্দুর রউফ খান।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবে ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ৫ জানুয়ারি ২০২৪ প্রচারণার শেষ দিন । ৭ জানুয়ারি ভোট গ্ৰহণ।