চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তিবৃদ্ধি করা, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ, গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম এবং ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ২৮৯ কোটি ২২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ ব্যয় বাড়ানোর অনুমোন দেওয়া হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তিবৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৭৭ কোটি ৫২ লাখ ৪১ হাজার ২৫ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক উইকেয়ার ফেজ-১: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক ব্যয় ৫ কোটি ১৯ লাখ ১ হাজার ৭৮৪ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে রয়েছে-ভারতের ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেন্ট অ্যান্ড টেকনোক্রাটস প্রাইভেট লিমিটেড, ইউকে’র রোফটন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং বাংলাদেশের বিসিএল অ্যাসোসিয়েট। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন নৌপরিবহন অধিদপ্তর কর্তৃক এস্টাব্লিশমেন্ট অফ গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম প্রকল্পে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোরিয়ার এলজি-স্যামহি কনসোটিয়াম-কে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৯ কোটি ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব দেওয়া হয়।