আজ বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টায় তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগার অফিস দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। সপ্তাহে গত বুধবার ১২ দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে। যদিও আবহাওয়া অফিসের এক পর্বাভাসে আগামী সপ্তাহ থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলা হয়েছিল। গত ৭ ঘন্টার হিসেব অনুযায়ী উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে গেছে। আকাশে ঘনকুয়াশা ছিল না। সূর্যের আলো দেখা মিললেও কনকনে শীত কিেমনি। দুপুর গড়িয়ে যাবার পর থেকে উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে হাঁড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়। তীব্র ঠান্ডার কারণে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগেই জনসাধারণকে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। ফলে হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাট অনেকটা জনশূণ্য হয়ে পড়ছে।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অফিসের হিসেবে দেশের কোন অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সেই হিসেবে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে নামতে পারে এবং দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে সপ্তাহ জুড়ে কনকনে শীতে গরীব-দুখী মানুষের দূভোর্গ বেড়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে এখনো গরীব-দুখী মানুষের মাঝে কোন শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, সরকারিভাবে তেঁতুলিয়ায় ১ম দফায় ২ হাজার ৮শত পিজ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং ইতোমধ্যে ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সমহারে বিতরণের জন্য উপকারভোগীর তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে এবং তালিকা পেলে বিতরণ করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান (ডাবলু) বলেন, সরকারিভাবে সাতটি ইউনিয়নের গরীব-দুখী মানুষের জন্য যতটুকু শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তবে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে বাড়তি শীতবস্ত্র চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে চাহিদাপত্র পাঠানো হবে।