জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় ৫/৬ মাস ধরে পতিত অবস্থায় পড়ে আছে ৮০ বিঘা জমি। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়াসারডুবী ও পুর্ব ফকিরপাড়া এলাকায় এমনই এক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই জেরে কিছুদিন আগে প্রায় ৮ বিঘা জমির ফসলও নষ্ট করে প্রতিপক্ষরা। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় নাসির উদ্দিনের পুত্র নজরুল ইসলাম ও সহিদুল ইসলামের দাবী তারা বুড়াসারডুবী ও পুর্ব ফকিরপাড়া মৌজায় ২৩ একর ৮৯ শতক জমি দীর্ঘ ৬০/৭০ বছর ধরে পৈত্রিক সুত্রে চাষাবাদ করে আসছে। সর্ব শেষ ৯০ সালে তাদের নামে রেকর্ডও হয়েছে। কিন্তু কয়েকমাস আগে ওই জমি গুলোর মালিকানা দাবী করেন বসেন একই এলাকার স্বপন চন্দ্র, আবুল বাসার নবী উদ্দিন, জাকারিয়া সোনা ও মজিবুল হকসহ কয়েকজন। তারা কিছুদিন আগে প্রায় ৮ বিঘা জমির ফসলও নষ্ট করেন। এ ঘটনার স্থানীয় ভাবে মিমাংশা ও তদন্ত করতে গেলে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের উপর হামলা করে উল্টো তাদের নামে মন্দির ও মূর্তি ভাংচুরের মামলা করেন। সম্প্রতি ওই জমি গুলো চাষাবাদের জন্য নজরুল ইসলাম ও সহিদুল ইসলামসহ জমির অন্য মালিকরা চাষ করতে গেলে তাদের বাঁধা দিচ্ছে স্বপন চন্দ্র, আবুল বাসার নবী উদ্দিন, জাকারিয়া সোনা ও মজিবুল হকসহ তাদের লোকজন এমন অভিযোগ নজরুল ইসলাম ও সহিদুল ইসলামের। জমি গুলো চাষাবাদ করতে না পেয়ে প্রায় ১০/১২টি পরিবার বিপাকে পড়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বপন চন্দ্র, আবুল বাসার নবী উদ্দিন, জাকারিয়া সোনা ও মজিবুল হক। তাদের দাবী, নজরুল ইসলাম ও সহিদুল ইসলাম ও তাদের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে ওই সব জমি দখল করে খাচ্ছেন। জমির কাগজ না দেখা পর্যন্ত এবং সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কেউ ওই জমি চাষাবাদ করতে পারবে না বলেও তারা হুমকী প্রদান করেন। হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, ওই জমি গুলো নিয়ে র্দীঘ দিনের বিরোধ। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার মিমাংশার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু সমাধানে আসতে পারেনি। এই বিষয়ে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।