বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ তাঁদের অবদানের কারনে বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে নিয়ামতপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াদ আলীর মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে একথা বলেন। এসময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াদ আলীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াদ আলী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা প্রাণবাজী রেখে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। দেশ স্বাধীন করে জাতিকে লাল সবুজ পতাকা দিতে পেরেছি।বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক সন্মান দিয়েছেন। মৃত্যুর পরও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্র সন্মান প্রদর্শন করছে। তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ মৃত্যুবরণ করছেন। আর ১০/১২ বছর পর হয়তো জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাওয়া যাবে না। তাদের মুখ থেকে শুনতে পাবোনা যুদ্ধের গল্প। প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফরিদ আহম্মেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি রুপম দাস, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুবাস চন্দ্র সরকারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ । পরে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।