ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলায় একর পর এক চুরি হচ্ছে বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার। এসব ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে ও প্রকৃত চোরদের পুলিশ আটক করতে পরছে না। অনেক এলাকার বাসিন্দারা চোরের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ভুক্তভোগিরা বলছেন পুলিশের জোরালো ভুমিকা না থাকায় কালীগঞ্জে বন্ধ হচ্ছে না চুরি। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১ টি ট্রান্সমিটার চোরেরা গভীর রাতে চুরি করে নিয়ে গেছে। কালীগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের মাঠ থেকে চুরি হচ্ছে ট্রান্সফরমার, এত ক্ষতি হচ্ছে কৃষকরা। এলাকার কৃষকরা আগামী ইরি মৌসুমের চাষ ব্যাহত হবে এমনটা আশা করছেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি দূগাপুর গ্রামের ১টি ও ৯ জানুয়ারি বড় তালিয়ান গ্রামের ১টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। ২ আগস্ট মোল্লাকুয়া গ্রাম থেকে এক রাতে ইকবাল আহম্মেদের ২টি, ও বুজরুক মুন্দিয়া গ্রামের আঃ মজিদের ১টি ও একই গ্রাম থেকে একই রাতে মোফাজ্ঝেল আহম্মেদের ১ টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর খামারমুন্দিয়া গ্রামের মসজিদের আইপিএস ও সে পাম্বের ট্রান্সমিটার চুরি হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে মোল্লাাকুয়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ট্রান্সমিটার চুরির কারণে সেচ পাম্পের আওতাধীন প্রায় ৫০ বিঘা ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ধানের জমিতে পানি দিতে ব্যহত হয় এলাকার চাষিদের।ফিরোজ ইকবালের জুন মাসে সেচ মোটর ডিপের লাইনের আরো ৩টি ট্রানসমিটার চুরি হয়। ফলে প্রায় শত বিঘা জমির ধানে পানি দিতে পারে নাই। ১৮ অক্টোবর রাতে পুকুরিয়া গ্রাম থেকে তাইজুল রহমান, মফিজুর রহমান, শাহজান আলীর ট্রান্সফরমার চুরি হয়। চোরেরা এক রাতে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। ২ নভেম্বর বড়তালিয়ান গ্রাম থেকে আসাদুজ্জানের ট্রান্সফরমার, ১৪ নভেম্বর বানুড়িয়া গ্রাম থেকে আবদুল আলীমের ১টি, ১ ডিসেম্বর আগমুন্দিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ১টি, বাদশা মিয়ার ১টি, ১০ ডিসেম্বর বানুডিয়া গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ৩টি ট্রানফরমার চুরি হয়। এলাকার কৃষকরা বলছেন অভিজ্ঞ লোক ছাড়া বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার চুরি করা সম্ভব নয়,এই সংঘবদ্ধ চোরেরা এতই অভিঙ্গ তারা। বৈদ্যুতিক খুঁটির ট্রান্সমিটার খুঁটি থেকে নামিয়ে ট্রান্সমিটার ভেঙে কপারের তার, কয়েল ও তেল চুরি করে নিয়ে যায়। এদিকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবস্থায় বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ট্রান্সমিটার চুরির বিষয়টি যেমন সহজ নয়, আবার বৈদ্যুতিক বিষয়ে অনভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তির দ্বারা ট্রান্সমিটার চুরি করাও অসম্ভব বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন। এমন কাজের সাথে কারা জড়িত, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের দাবি জানান স্থানীয়রা। অনেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ও পুলিশ চোর বা ট্রান্সমিটার উদ্ধার করতে পারেনি। আবার চুরি হবার পর দ্রুত ভাবে ট্রান্সমিটার সংগ্রহ করা কৃষকদের পক্ষে সম্ভব হয় না।