মৎস্য আইনকে উপেক্ষা করে পাবনার সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলের খাল সেচে ও বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে বিলে মাছের আকাল দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকার সচেতন মহল ধারণা করছেন। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গাজনার বিলের চরদুলাই, বাদাই, বোনকোলা, হাটখালী এবং রানীগরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ১৫/১৬টি সরকারি জলমহাল রয়েছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওই সকল জলমহাল লিজ নিয়ে ভোগ-দখল করেন। সরকারের মৎস্য আইন অনুযায়ী মৎস্যজীবীরা তাদের লিজকৃত জলমহাল থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মাছ শিকার করবেন। জলমহাল সেচে এবং বিষ বা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ শিকার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ ওই সকল জলমহালের লিজকৃত মালিকরা জলমহাল সেচে এবং তাতে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। উপজেলার বিলপাড়ের উলাট গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন শুষ্ক মৌসুমে বিলের ওই সকল জলমহাল এবং বিলে খননকৃত খাল ছাড়া কোথাও পানি থাকেনা। ফলে বিলের মা মাছসহ সকল প্রকার মাছ জলমহাল ও খালে আশ্রয় নেয়। কিন্তু অসাধু ওই মৎস্যজীবীরা জলমহাল লিজ নেওয়ার নাম করে সেচে তথা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে সম্পূর্ণ ছেঁকে মাছ শিকার করছে। এতে বিল মাছ শূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিলপাড়ের বোনকোলা গ্রামের বাসিন্দা রইচ উদ্দিন বলেন ওই সকল জলমহাল এবং খালে থাকা মাছের প্রজনন থেকে বর্ষা মৌসুমে বিলে মাছের বিস্তার ঘটে। কিন্তু জলমহাল এবং খালের পানি সেচে মাছ শিকার করায় প্রজননের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে চলতি শুষ্ক মৌসুমের পাশাপাশি আগামী বর্ষা মৌসুমে ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে মাছ শূন্য হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ঘটনা সত্য হলে সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবীদের নামীয় লিজ বাতিল করা হবে।