দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে সপ্তাহজুড়ে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। রোববার তেঁতুলিয়া ১ম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার গত ২৪ ঘন্টায় ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এনিয়ে গত চারদিন যাবত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়া অঞ্চলে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে দেশের কোন অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সেই হিসেবে পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ সকালে আকাশে কোন কুয়াশা ছিল না। সূর্যের আলোর প্রখরতা থাকলে ঝিরঝির হিমেল বাতাস জনসাধারণ, গবাদিপশু সহ অন্যান্য প্রাণিকুলকে শীতে কাহিল করেছে। অনেক কৃষক গবাদি পশুর গায়ে চট বা কম্বল জড়ায়ে দিয়ে রাখতে দেখা গেছে। দুপুর গড়িয়ে যাবার পর থেকে কনকনে হাঁড় কাঁপানো শীত নামছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগেই জনসাধারণকে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। ফলে হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাট অনেকটা জনশূণ্য হয়ে পড়ছে। এদিকে তীব্র ঠান্ডার কারণে মহানন্দার পাথর শ্রমিকদের বেশিভাগ পাথর সংগ্রহের জন্য নদীতে নামতে পারেনি। ঠান্ডা নিবারণে গরীব-দুখী মানুষ খড়-কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। তবে সরকারিভাবে এখনো তেমন শীতবস্ত্র বিলি করা হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে সরকারিভাবে ২ হাজার ৮শত পিজ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে ইতোমধ্যে সাতটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, সপ্তাহ জুড়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ জুড়ে থাকতে পারে। কারণ চলতি মাসে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা-নামা করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, সরকারিভ ভামে ২ হাজার ৮শত পিজ কম্বল সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছে বিতরণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। বাড়তি শীতবস্ত্র চেয়ে জেলায় চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান (ডাবলু) বলেন, ১ম পর্যায়ে যতটুক শীতবস্ত্র বরাদ্দ পেয়েছি তা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে বাড়তি শীতবস্ত্র চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে চাহিদাপত্র পাঠানো হবে।