পটুয়াখালীতে বিনোদন প্রেমীদের আকৃষ্ট করেছে ভ্রাম্যমান হেলিকপ্টার রেষ্ট্রুরেন্ট। এ প্রথম আধুনিকতা আর নতুনত্বের ছোঁয়া নিয়ে শহরের ভ্রমন প্রশিদ্ধ ঝাউতলায় লাল ফিতা ও কেক কেটে এ রেষ্ট্রুরেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হাফিজুর রহমান এবং পৌরসভা মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ। ১৭ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে হেলিকপ্টার রেষ্ট্রুরেন্টের উদ্বোধনকালে অতিথিদ্বয় বলেন, পটুয়াখালীর মানুষদের আমরা সব সময় নতুন কিছু ভাল উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতা নিয়েই আজ ব্যতিক্রম একটি রেষ্ট্রুরেন্টের শুভ সূচনা হলো। এমন রেষ্ট্রুরেন্টের খাবার মান হতে হবে রুচি সম্পন্ন। আর প্রতিটি জেলায় পটুয়াখালীর এ আকর্ষনীয় অভিনব হেলিকপ্টার রেষ্টুরেন্টের শোডাউন করা হবে পর্যায়ক্রমে। জানাগেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের কাজীরহাট গ্রামের আরিফুল ইসলাম, আলআমিন ও মেহেদী হাসান নামে তিন যুবক বন্ধু নিজ উদ্যোগে হেলিকপ্টার রেষ্ট্রুরেন্টটি নির্মান করেছে। এরা তিন জনেই ওয়ার্কশপ মি¯্র।ি নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়েই হেলিকপ্টার রেষ্ট্রুরেন্টটি নির্মান করেছেন তারা। এর কারিগরও তারাই। এর ভিতরে রয়েছে আধুনিক ডেকোরেশন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত হেলিকপ্টারটিতে মুল হেলিকপ্টারের আদলে বাহ্যিক ইকুইপমেন্টস রয়েছে। মেহেদী জানান, সম্পুর্ন ষ্টীল পাতের তৈরী হেলিকপ্টারের বাহিরের অংশে রয়েছে তিন পাখার বড় চড়কা। যেটি কিনা রেষ্ট্রুরেন্ট চলাকালীন সময়ে ঘুরতে থাকে। ভিতরে বসার ২১টি চেয়ার খুবই আরামদায়ক। ৯ মাস ধরে এটি নির্মানে ব্যয় হয়েছে ২২ লাখ টাকা। ৩৭০ খাবার আইটেম তৈরীর জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। মুলত: এখানে বাংলা এবং মিনি চাইনিজ সহ সব ধরনের খাবার পাওয়া যাবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিকেল থেকে রাত অবদি হেলিকপ্টার রেষ্ট্রুরেন্টটি এক নজর দেখার জন্য প্রচুর উৎসুক মানুষ ভীড় জমায় ঝাউতলা বালুর মাঠে। সাবিনা ইয়াসমিন নামে একজন উৎসুক নারী তার দুই সন্তান নিয়ে এসেছিলেন হেলিকপ্টার রেষ্ট্ররেন্ট দেখতে। এসে তারা ছবি তুলে খুব খুশি হয়েছেন। আরেকজন ভ্রমনকারী মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ভিতরে সীট খালি পাওয়ার জন্য বিকেল থেকে এক ঘন্টার অধিক সময় লাইনে অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। তবুও দীর্ঘ অপেক্ষার পর হেলিকপ্টারের ভিতরে বসতে পেরে সন্তানরা খুবই খুশি।