বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও ভালেন্সিয়ার চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রইল বার্সেলোনা। সুযোগ মিলল অনেক। বিরতির পর গোল করে এগিয়েও গেল শাভি এর্নান্দেসের দল, কিন্তু ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দৃঢ়তা আর নিজেদের সুযোগ নষ্টের মহড়ায় ফের পয়েন্ট হারল তারা। ভালেন্সিয়ার মাঠে শনিবার লা লিগার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। জোয়াও ফেলিক্স বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন উগো গিয়ামন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন রইল বার্সেলোনা। লিগে গত রাউন্ডে জিরোনার কাছে ৪-২ গোলে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রয়্যাল এন্টওয়ার্পের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হারে কাতালান দলটি। ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৬৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৬টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার ৮টি ছিল লক্ষ্যে, কিন্তু জালে যায় কেবল একটি। স্বাগতিকদের ১১ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল। দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় ভালেন্সিয়া। বক্সের ভেতর থেকে রোমান ইয়ারেমচুকের শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক ইনাকি পেনা। নবম মিনিটে ফের বিপজ্জনকভাবে বক্সে ঢুকে পড়েন ইয়ারেমচুক, দ্রুত এগিয়ে এসে দলকে বিপদমুক্ত করেন পেনা। অষ্টাদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় বার্সেলোনা। ২৫ গজ দূর থেকে রবের্ত লেভানদোভস্কির নিচু শট ঠেকিয়ে দেন ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক। ২৮তম মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ পান লেভানদোভস্কি। পেদ্রির ক্রসে বক্সে পোলিশ তারকার অ্যাক্রোবেটিক ভলি ঝাঁপিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক। ৩৪তম মিনিটে পেদ্রির শট উড়ে যায় ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ক্রস বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরের পোস্টে পাস দেন রাফিনিয়া আর বাকিটা সারেন ফেলিক্স। ৭০তম মিনিটে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। বক্সের বাইরে বল পেয়ে জায়গা বানিয়ে ওপরের কোনা দিয়ে জালে পাঠান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার গিয়ামন। ৭২তম মিনিটে ফেলিক্সের বদলি নামার পরপরই একটি সুযোগ পান ফেররান তরেস। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের ভলি দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৮২তম মিনিটে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। ওয়ান-অন-ওয়ানে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক। তবুও সুযোগ ছিল, রাফিনিয়ার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন এক ডিফেন্ডার। ১৭ ম্যাচে ১০ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। ১৬ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে রেয়াল মাদ্রিদ দুইয়ে, ৪১ পয়েন্ট নিয়ে জিরোনা শীর্ষে আছে। বার্সেলোনার সমান ১৭ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দশে আছে ভালেন্সিয়া।