বেনাপোল বন্দরের ২৯ নাম্বার শেডে ১২ ট্রাক ফেব্রিকস আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে ২০ কোটি টাকা মুল্যের ৪টি পন্য চালান আটক করেন তারা। আটক পন্য চালানের মেনিফেস্ট নাম্বার-কাস্টমস সুত্র জানায়, আটক পন্য চালানের মেনিফেস্ট নাম্বার- ৬০১২০২৩০০৪০০৬৩৬৯১, ৬০১২০২৩০০২০০৬৩৬৯২, ৬০১২০২৩০০২০০৬৩৬৯৭ তারিখ-১৭-১২-২০২৩, ৩ চলানের মোট- ২ হাজার ৩২৭ প্যাকেজ ফেব্রিকস, পন্যচালানের আমদানি কারক- রোজা মনি এন্টারপ্রাইজ, দিনাজপুর। রপ্তানিকারক- সুন্দরী ফ্যাশান, ইন্ডিয়া। ডিক্লিয়ার আছে সিনথেটিক ফেব্রিক্স, আছে সব শাটিং ফেব্রিক্স ও ভেলভেট ফেব্রিক্স। মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে সেনথিটিক ফেব্রিক্স স্থলে শার্টিং ফেব্রিক্স, চিনাউল ফেব্রিক্স ও ভেলভেট ফ্রেবিক্স্র আমদানি করেন। পন্য চালানটি বন্দরে প্রবেশের সময় ওয়েইং স্কেলে ৮ টন মালামাল বেশী থাকলেও স্কেলে কর্মরত বন্দরের কর্মকর্তা সন্দিপ রায় প্রিন্ট দেওয়ার সময় মালামাল সঠিক আছে বলে ওজন শ্লিপ প্রিন্ট করে দেন। বন্দরের সুত্র জানায়, পন্যচালান গুলো খালাশের দাযিত্বে আছেন, সি এ- এফ এজেন্ট তৃনা এসোসিয়েটস ও অনন্তা এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড, বেনাপোল। শরীফুল ইসলাম নামে এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে তার নিজের কোন লাইসেন্স নেই। সে এই্ দুটি লাইসেন্স ভাড়া করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। কাস্টমস’র চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন এই সি এ- এফ এজেন্ট সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বহু অর্থ সম্পওির মালিক হয়েছেন। ঘোষনায় কটন ফেব্রিক্স থাকলেও সব শাটিং ফেব্রিক্স ও বক্স ফেব্রিক্স আছে। পার প্যাকেজ টিয়ার ৩’শ গ্রাম ঘোষনা থাকলেও ৩ কেজি করে পাওয়া যায়। একই শেডে ৫/৭ টি ফেব্রিক্স এর চালান রেখে, একটি কনসাইনমেন্ট পরীক্ষা করে খালাশের সময় মিথ্যা ঘোষনার চালান খালাশ করে থাকে। পন্য চালানগুলো খালাশের দায়িত্বে নিয়োজিত শরীফুল ইসলাম জানান, পন্য চালানগুলো খালাশের করার দায়িত্ব আমার। আমার নিজের কোন লাইন্সেন নেই, ভাড়া লাইসেন্সেই কাজ করি। তবে মালামাল গুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখনও পরীক্ষন কার্যক্রম সম্পন্ন করেননি। টিয়ার জনিত কারণে ৪ টন মালামাল বেশি আছে, বিসয়টি তিনি এড়িয়ে যান। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ওয়েট স্লিপ কম্পিউটার জালিয়াতি করে সে প্রতিনিয়ত রজাস্ব পাকি দিয়ে আসছে। যা তদন্ত করলে ধরা পড়বে। বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আবদুল হাকিম জানান, আমাদের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পন্য চালানগুলো ভারতীয় ট্রাক থেকে বন্দরের শেডে আনলোড করা হয়েছে। তবে শতভাগ কায়িক পরীক্ষন কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হবে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।