চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগালা ভেঙে শিপইয়ার্ডে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে উপজেলার ফৌজদারহাট সাগর উপকূলে অবস্থিত কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আইন অমান্য করে প্রতিষ্ঠানটি আবারো কার্যক্রম শুরু করলে সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযানকালে ইয়ার্ডের ৫ জনকে আটক করে ১৫ দিন করে সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত ৫ আসামিরা হলো উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের উত্তর সলিমপুর গ্রামের মৃত ফারুক আহমেদের পুত্র মোঃ হানিফ, একই এলাকার বাসিন্দা গুরা বাঁশি দাশের পুত্র কাঞ্চন দাশ, মৃত নুর হোসেনের পুত্র হাসান আলী, মৃত ইউসুফের পুত্র মোঃ নাছির, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের মৃত শামছুল আলমের পুত্র পারভেজ আলম। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলাউদ্দিন জানান, মোঃ আবুল কাসেম প্রকাশ রাজা কাশেমের স্ত্রী কোহিনুর বেগমের নামে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট সাগর উপকূলের উত্তর সলিমপুর মৌজার বিএস দাগ ১ এর ৫ একর সমুদ্র সিকস্তি ভূমি দখল ও উপকূলীয় বনে গাছ কেটে কোহিনুর স্টিল নামক একটি শিপইয়ার্ড স্থাপন করায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ২১ মে তাদের ইজারা বাতিল ও স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে সিলগালা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজা কাশেম স্থানীয় কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে নিজেই আইন লঙ্ঘন করে সিলগালা ভেঙে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আমি সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করি। এ সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা একজন ম্যানেজারসহ ৫ জনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, সেখানে অভিযানের আগে এবং পরে রাজা কাসেমের ভাড়াটিয়া লোকজন ভ্রাম্যমান আদালতকে বাধা দিয়ে সরকারি কাজে বাধা দেবার চেষ্টা করে। এদিকে কোহিনূর শিপ ইয়ার্ডের মালিক মালিক রাজা কাসেম বলেন আমি নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য গত ২৯ মে ২০২৩ সালে আদালতের আদেশে উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি সীতাকুণ্ড এবং জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সিলগালা করা হয়েছিল।