জেলার ছয়টি আসনে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এরমধ্যে দুটি আসনে নারী প্রার্থী রয়েছেন দুইজন। তারা উভয়েই আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে শাহানাজ হোসেন এবং বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে প্রেসিডয়াম সদস্য ও বর্তমান সাংসদ নাসরিন জাহান রতনা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সূত্রমতে, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নাসরিন জাহান রতনা বরিশাল-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হওয়ায় তার অভিজ্ঞতা আছে বেশ ভালোই। পাশাপাশি এ আসনে তার নিজস্ব কর্মী সমর্থকও রয়েছে। তবে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শাহানাজ হোসেন প্রথমবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। সংসদীয় আসনে দলের অবস্থান যাই হোক না কেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী দাবি করে বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে মানুষ আমাকে ভোট দেবে। দুইটি আসনে নেই নৌকার প্রার্থী ॥ জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে দুইটি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী নেই। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেই বরিশাল-৩ ও বরিশাল-৪ আসনে। সূত্রমতে, ১৪ দলের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে বরিশাল-৩ আসনটি ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ও জাপার প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন সরদার মোঃ খালেদ হোসেন স্বপন। দলের সিদ্ধান্তে তিনি তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অপরদিকে বরিশাল-৪ আসনে ড. শাম্মী আহমেদকে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও দ্বৈত নাগরিক ইস্যুতে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফলে এ আসনেও নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী নেই। তবে এ আসনে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া পঙ্কজ দেবনাথ এবার ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সোমবার দুপুরে প্রতীক বরাদ্দ শেষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহবান করে বলেন, আগামী ২৩ ডিসেম্বর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে সকল প্রার্থীকে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি আহবান করেন। লাঙ্গলের প্রার্থী বেশি ॥ জেলার ছয়টি আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘোষিত প্রতীকের মধ্যে লাঙ্গলের প্রার্থী সবচেয়ে বেশি। এরপর রয়েছে নৌকা, আম, ঈগল ও ট্রাক। সূত্রমতে, ছয়টি আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে ভোটের লড়াই করবেন ছয়জন প্রার্থী। অর্থাৎ প্রতিটি আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চারজন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকে চারজন, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে তিনজন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকে তিনজন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে দুইজন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকে একজন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে একজন, জাসদের মশাল প্রতীকে একজন, ট্রাক প্রতীকে তিনজন, ঢেঁকি প্রতীকে একজন, তরমুজ প্রতীকে একজন, রকেট প্রতীকে একজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন চারজন প্রার্থী।