পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা কমছেই সপ্তাহজুড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। মঙ্গলবার তেঁতুলিয়া ১ম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। গত সোমবার ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গত রোববার ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত শনিবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেন। আবহাওয়া অফিসের গত সপ্তাহের তাপমাত্রার পরিসংখ্যান অনুযায়ী হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা কমছেই। এ ছাড়া গত দু’সপ্তাহ ধরে ৯-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বলেন-পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে দেশের সবোর্চ্চ বরফ আচ্ছাদিত পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্জনজক্সঘার দূরত্ব ১৩৭ কিলোমিটার, শৈল্যশহর দার্জিলিং শহরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার এবং বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টের নিকটবর্তী শিলিগুড়ির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার হওয়ায় অনেকটা হিমালয়ের হিমবাহের প্রভাব পড়ে। যে কারণে হিমেল বাতাসের সংগে কনকনে হাঁড় কাঁপানো শীত অনুভুত হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলা ১৪৩০ সালের অগ্রহায়ণ মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ কাটে যেতে না যেতেই পৌষ ও মাঘ (শীতঋতু) শরুর ১ম সপ্তাহে যে হারে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা কমছে তাতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর শীতের প্রকৌপ বাড়বে। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় ছিন্নমূল গরীব-দুখী মানুষ শীত নিবারনের জন্য খড়-কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। এখনো সরকারিভাবে গরীব দুখী মানুষের মাঝে কোন শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। অপরদিকে সর্দি, কাঁশি-জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া সহ নানান রোগে শিশু-কিশোর সহ আবাল-বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের সূত্রে জানা যায় প্রতিদিন শীত জনিত রোগে শিশুরা ডায়ারিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাঁশি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালের সূত্রে জানা যায় প্রতিদিন গড়ে বর্হিবিভাগে ২৫০-৩০০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে এবং আন্তঃবিভাগে ১০-১৫জন আক্রান্ত মা ও শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতালের বহিঃবিভাগ ও আন্তঃ বিভাগে ঠান্ডা জনিত রোগের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যাই বেশি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেন, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় মেডিকেল অফিসার ও জনবল সংকট থাকার পরও রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে কোন শিশু-বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত মা ও শিশু রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে কিছুটা হিমসীম খেতে হচ্ছে। তিনি তেঁতুলিয়া হাসপাতালে একজন শিশু-বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সহ প্রয়োজনীয় মেডিকেল অফিসার নিয়োগদানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছেন।