নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের মিশন একটাই সেটা হলো আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন করতে চাই। এর জন্য যা যা করার দরকার সবই করবো। আমাদের ৫ জন নির্বাচন কমিশনার এবং সচিব সবাই এই একটাই বার্তা দিচ্ছি। তা হলো নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এটা সবাই যেনো নিশ্চিত থাকে। যিনি নির্বাচিত হয়ে আসবেন তিনি আমাদের প্রতিনিধি হবেন তাকেই স্যালুট করবে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, ভালো আছে। এটা আরও ১৯ দিন ধরে রাখতে চাই। নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের বা তাদের নেতা-কর্মীদের। মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলার পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটারদের আমরা বলব- ভোট দিতে আসুন। তার মানে এই নয়, আমরা ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত করব। ভোটারদের উপস্থিতির জন্য প্রার্থীদের বিভিন্ন কৌশল থাকে তারা সেভাবে ভোটার আনবেন বলে আমার বিশ্বাস। আনিছুর রহমান আরও বলেন, প্রচার-প্রচারণায় কেউ বাঁধা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা। আইন অনুযায়ী প্রচার-প্রচারণা যেটুকু করার সেটুকু করতে দিতে হবে। তবে প্রার্থীদেরও দায়িত্ব আছে। আচরণবিধিতে আছে, কোনো প্রার্থী কোথায় প্রচার-প্রচারণা করতে চান তা ২৪ ঘণ্টা আগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। কারণ, একই স্থানে যদি দুজন প্রচার করতে চান তাহলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশ উত্তপ্ত হবে। এ জন্যই ওসিকে বিষয়টি জানানোর জন্য বলেছি যেনো পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।