সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনের সংসদ-সদস্য মোতাহার হোসেনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ১৫ বছরে প্রায় ৩২ গুণ বেড়েছে। নগদ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ গুণ আর আয় ২৫ গুণ। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি নিজের নামে অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন ১২ লাখ ১৫ হাজার ৬৩০ টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৮৬ টাকা। ফলে ১৫ বছরে মোতাহার হোসেনের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩২ গুণ। নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি নিজের নামে নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন ৮৫ হাজার আর স্ত্রীর ২৫ হাজার। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর নামে নগদ টাকা ও সম্পদের কোনো হিসাব না দেখালেও নিজের নামে নগদ ২৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। সে অনুযায়ী ১৫ বছরে তার নগদ টাকা বেড়েছে ৩০ থেকে ৩১ গুণ। অন্যদিকে ২০০৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী মোতাহার হোসেনের বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি ৩৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন। সে অনুযায়ী তার আয় বেড়েছে ২৫.৭০ গুণ। ২০০৮ সালে নবম এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ২০০৮ সালে মোতাহার হোসেনের ব্যাংকে জমা ছিল ৩ হাজার ৬৩০ টাকা। নগদ ছিল ৮৫ হাজার টাকা। দ্বাদশ নির্বাচনে ব্যাংকে কোনো জমা না দেখালেও নগদ ২৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি দেখিয়েছেন ২০০৮ সালে, বর্তমানে তার গাড়ির মূল্য ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ৪০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার অপরিবর্তিত আছে। ২০০৮ সালে কৃষিজমি ছিল ৬.৩১ একর, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭.২১ একর। ২০০৮ সালে তিনি ব্যবসা থেকে বছরে আয় করতেন ১ লাখ ৬ হাজার টাকা। এখন আয় করছেন ২০ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে মোতাহার হোসেন বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৮৫ হাজার, ব্যবসা থেকে ২০ লাখ, চাকরি থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার এবং অন্যান্য ও সুদ থেকে ৭৯ হাজার টাকা আয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। মোতাহার হোসেন ২০২৩ সালে অস্থাবর সম্পদ হিসাবে নগদ ২৫ লাখ ৭৬ হাজার, গাড়ি ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, ৪০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার, ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেখিয়েছেন। হলফনামা অনুযায়ী তার বর্তমান অস্থাবর সম্পদের আর্থিক মূল্য নগদ টাকাসহ ১ কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। একই হলফনামায় তিনি স্থাবর সম্পদ হিসাবে ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ৭ দশমিক ২১ একর কৃষিজমি, ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যের শূন্য দশমিক ৫৪ একর অকৃষিজমি, ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন অবকাঠামো এবং ২০ লাখ টাকা মূল্যের রাজউক প্লটের কথা উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে তার বর্তমান স্থাবর সম্পদের মূল্য ২ কোটি ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। ফলে বর্তমানে তার মোট অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা। ১৫ বছর আগে তার মোট অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ ছিল ১২ লাখ ১৫ হাজার ৬৩০ টাকা।