দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা’ সিনেমায় একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জগদীশ প্রতাপ বান্ডারি। গত ৬ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রেমিকার আত্মহত্যার কারণেই অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেয়ার দায় স্বীকার করেছেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জগদীশের প্রেমিকার বয়স ছিল ২৯ বছর। বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন তিনি। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন বাবা। অভিযোগ দায়ের করেন জগদীশের বিরুদ্ধে। জগদীশই নাকি প্রেমিকাকে প্ররোচনা দেন আত্মহত্যা করার জন্য। অভিযোগে উল্লেখ করেন, বারবার প্রেমিকাকে হুমকি দিতেন জগদীশ। অপদস্থও করতেন। অভিনেতার অত্যাচারেই নিজেকে শেষ করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তার মেয়ে। হেনস্থা, অত্যাচার, মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন তিনি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ ও ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার দায় স্বীকার করেছেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে জগদীশ বলেন, ‘আমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার পর মেয়েটিকে আমি হুমকি দিয়েছি। কারণ সে অন্য ছেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছিল, যা আমি সহ্য করতে পারিনি। আমার কাছে ফিরে আসার জন্য ছবিগুলো ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করেছি।’ পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ নভেম্বর অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে প্রেমিকাকে দেখতে পান জগদীশ। তখন তাদের ছবি ও ভিডিও করে রাখেন জগদীশ। পরে সেগুলো দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেন। এমনকি ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেন। এরপর ২৯ নভেম্বর আত্মহত্যা করেন তার প্রেমিকা। যিনি নিজেও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির একজন জুনিয়র আর্টিস্ট ছিলেন। এসবের জেরেই গত ২৯ নভেম্বর আত্মহত্যা করেন ওই নারী শিল্পী।