মিথ্যা ঘোষণায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা তা রুখে দিয়েছে। চালানটি আটকের পর প্রযোজ্য শুল্ক ও জরিমানা আদায়ে আটক করেছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের গাড়ির। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ১২ দিন পর পূর্বের টেন্ডার করা ৪৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। হিলি স্থলবন্দরের রায়হান ট্রেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজগুলো আমদানি করেন। কিন্তু ঘোষণা পত্রে ২৯ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। এতে অন্তত ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেন ওই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার বায়জিদ হোসেন জানান, পুরনো এলসির টেন্ডার করা পেঁয়াজ মঙ্গলবার রায়হান ট্রেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় দুটি ট্রাকে ৪৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করেন। কিন্তু তারা ঘোষণা পত্রে ২৯ মেট্রিকটন উল্লেখ করেন। ঘোষণা পত্রের অধিক পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে। তাই বিধি মোতাবেক পণ্যগুলি আটক করে প্রযোজ্য শুল্ক ও জরিমানা আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রংপুর বিভাগীয় কাস্টমসসে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা শেষে পেঁয়াজগুলো ছাড়করণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।