মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করায় দুই ছেলে কে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নারীসহ ৬ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ডোবাচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের রঘুরচর গ্রামের আবদুল গাফ্ফারে ছেলে মো. ফয়সাল(২৬) ও জহিরুল ইসলাম (২৪), ভাতিজা নাহিদ(১৭) এবং স্ত্রী হাসিনা বেগম(৫৫), বোন রতœা আক্তার (৩২), ছোট ভাই হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া(৩০)। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ফয়সাল, জহিরুল ইসলাম ও নাহিদ গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও আহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ডোবাচর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঝোঁপ দেখতে যায় আবদুল গাফ্ফার। গিয়ে দেখে ঝোঁপের চারদিকে দেয়া জাল কে বা কাহারা যেন জাল কেটে দিয়েছে। এনিয়ে আবদুল গাফ্ফার নদীর পাড়ে বসতি লোকজনের কাছে জানতে চাইলে ডোবাচর গ্রামের তাজুল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চড়থাপ্পড় মারে আবদুল গাফ্ফার কে। পরে খবর পেয়ে আবদুল গাফ্ফারের দুই ছেলে ও স্বজনরা ঘটনার স্থল এসে প্রতিবাদ করে। ওই সময় রমজানের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে দুই ছেলে কে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আহতদের মধ্যে তিনজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি জানতে রমজান মিয়ার বাড়ি ডোবাচর গ্রামে গেলে তার বসত ঘর তালাবদ্ধ দেখা যায়। তার মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি তদন্ত আক্তারু জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।