আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট। এজন্য তার পরিবর্তে নির্বাচনের সময়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এদিকে মন্ত্রীর এ ঘোষণাকে একতরফা ও মনগড়া বলেছেন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট। দেখা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়। এ জেলার পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন আনোয়ার সাদাত সম্রাট। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন এক রাজনৈতিক মোড় দেখা দিয়েছে পঞ্চগড়ে। আনোয়ার সাদাত সম্রাট নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। গত বুধবার রাতে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাংগঠনিকভাবে এ দায়িত্ব দেন মন্ত্রী। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট আসন্ন সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ অবস্থায় তার পক্ষে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার জায়গায় আমাদের দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে অনুষ্ঠেয় প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল জনসভা সফল করতে গত বুধবার রাতে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এক পথসভায় এ ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী। এদিকে রাতে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, রেলমন্ত্রীর এ ঘোষণা মনগড়া। এটি কেন্দ্রের কোনো সিদ্ধান্ত না। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছি। একই সঙ্গে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার সাধারণ সম্পাদকের পদ হারালে রেলমন্ত্রী সভাপতির পদ ও নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা সহ-সভাপতি পদ হারাবেন। মন্ত্রী যেটি বলেছেন, সেটি একতরফা হয়ে গেছে। এমনটি হলে সারা দেশেই হবে। তবে এমন কোনো নির্দেশনা কেন্দ্র থেকে আসেনি। দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা এটা। নির্বাচনে অংশগ্রহণে যদি আমার পদ যায়, তাহলে তাদের পদও যাওয়ার কথা। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।