আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ে মনোনীত নৌকার প্রার্থী নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা বলেছেন, ৭ই জানুয়ারী নির্বাচনে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে একটি করে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন। পঞ্চগড় জেলার মানুষের মাঝে একটি ঐতিহ্য আছে তা হলো নৌকা ও ধানের শীষ এই দুই প্রতীকের প্রার্থীর ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। সাধারণ ভোটারদের কাছে এই দুটি প্রতীকের প্রার্থী ও সরকার খুব পছন্দের। যেহেতু একটি প্রতীকের দল স্বেচ্ছায় ভোটে অংশগ্রহণ করেনি; তাই নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার জন্য শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। আপনারা জানেন এবার ভোট কেন্দ্রে যদি ১০-১৫% ভোটার উপস্থিতি হয় তবুও নৌকা প্রতীক বিজয়ী হবে। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট গিয়ে পঞ্চগড়ের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার আশা আকাঙ্খার কথা জোরেসরে বলতে পারব। বিশেষ করে পঞ্চগড়ের মানুষের জন্য একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, সুগার মিলস লিমিটেড পুনরায় আধুনিক যন্ত্রপাতি লাগিয়ে চালুকরণ, চা শিল্পের মানোন্নয়ন, তেঁতুলিয়ার স্বচ্ছ বালি ও পাথর দিয়ে অত্র অঞ্চলে কাঁচ শিল্পকারখানা স্থাপন, পঞ্চগড় শহরের বাইপাস সড়ক নির্মাণ, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সকল প্রকার পণ্য আমদানী-রপ্তানীর মাধ্যমে চতূর্দেশীয় বাণিজ্য প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাবান্ধা জিরোলাইন পর্যন্ত রেল-লাইন নির্মাণ সহ নানামুখী অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করে পঞ্চগড়ে শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করব। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শালবাহান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
শালবাহান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক আকন্দ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তেব্য নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলেও সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করেছিল। সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিজের গণতন্ত্রকে অবাধ-নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে পারেনি। তাদের দেশেই গণতন্ত্র নাই আর সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতার ছবক দেন এটা তাদের মুখে মানায় না। তিনি বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে তাদের সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি স্থাপনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চট্টগ্রামে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে বঙ্গপসাগরের তেল, গ্যাস সহ নানান প্রাকৃতিক সম্পদ লুটে নিতে চাই; যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বুঝতে পারে তাদের সেই আকাক্সক্ষা পূরন হতে রাজি হয় নাই এবং এদেশকে অতন্দ্রপ্রহীর দাঁড়িয়ে থেকে রক্ষা করছে বলেই তাদের রাষ্ট্রদূতরা এই নির্বাচনকে বিশ্বাবাসীর কাছে অবাধ-নিরপে, অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রশ্ন তুলছে এবং আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ইরাকের মত তাদের পাতানো কিছু ঘুষঘোর ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসানোর পায়তারা করছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার মুখে হাসি ফুটানোর জন্য এবং বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই ৭ই জানুয়ারির দিন আপনারা ভোট কেন্দ্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে সকল ষড়যন্ত্রেও হাত থেকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে রক্ষার প্রত্যয়ন ব্যক্ত করবেন; এমনটিই আমার প্রত্যাশা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল হাকীম এর সঞ্চালনায় নির্বাচী জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সাবেক মহিলা সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ফরিদা আখতার হীরা, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আবদুল লতিফ তারিন, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামলীগের সহ-সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ড কাজী মাহবুবুর রহমান, উপজেলা আওযামীলীগের সদস্য আবদুল বাসেদ ও সফিউল আলম বুলবুল, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত আলী সহ শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।