একটি ট্রফি বাকি ছিল ম্যানচেস্টার সিটির। এবার ঘুচে গেল সেই অপূর্ণতাও। প্রথম সুযোগেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিল ইংলিশ ক্লাবটি। কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার মতে, তাদের একটি অধ্যায়ের শেষ হলো। এখন নতুন আরেকটা অধ্যায় শুরু করার দিকে নজর এই স্প্যানিয়ার্ডের। ২০১৬ সালে গুয়ার্দিওলা কোচ হওয়ার পর একের পর এক সাফল্য পেয়েছে সিটি। গত জুনের আগে পর্যন্ত এর সবকিছুই যদিও ছিল ঘরোয়া ফুটবলে। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি বছরের পর বছর তাদের জন্য রয়ে যায় অধরা। গত মৌসুমে সেই ট্রফি জিতে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হয় সিটির। সেই সাফল্যের কারণেই তারা সুযোগ পায় উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপে। গত অগাস্টে সেভিয়াকে হারিয়ে সুপার কাপ জয়ের পর শুক্রবার ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে জিতে নেয় ক্লাব বিশ্বকাপ। ফাইনালে ইউরোপ সেরাদের সামনে পাত্তাই পায়নি কোপা লিবের্তাদোরেস চ্যাম্পিয়নরা। সিটি জয় পায় ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। এই বছরে এটি সিটির পঞ্চম ট্রফি, দলটির কোচ হিসেবে গুয়ার্দিওলার ১৪তম ট্রফি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছে ইতিহাদ স্টেডিয়ামের দলটি। এর মধ্যে আছে পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ, দুটি এফএ কাপ, চারটি লিগ কাপ, একটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ। সিটির সঙ্গে গুয়ার্দিওলার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ বাকি আরও দেড় বছর। ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের পর ৫২ বছর বয়সী এই কোচ বললেন, তার কাজ ‘শেষ’। তবে আরও ট্রফি জয়ের অনুপ্রেরণাও পাঁচ্ছেন তিনি। "মুহূর্তটি সুন্দর, একটি সুন্দর দিন। আমি খুব খুশি। আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা অধ্যায়টি শেষ করব; আমরা সব শিরোপা জিতেছি, জেতার আর কিছু বাকি নেই। মনে হচ্ছে, কাজ শেষ হয়েছে।” "এখন ক্রিসমাসের সময়, আমরা আরেকটি বই কিনে আবার লিখতে শুরু করব। গত আট বছর শেষ হয়ে গেছে। আমরা যা করেছি, তা অবিশ্বাস্য।” প্রথম কোচ হিসেবে ভিন্ন তিনটি দলের হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়েছেন গুয়ার্দিওলা। এর আগে ২০০৯ ও ২০১১ সালে বার্সেলোনার হয়ে ও ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে এই স্বাদ পান তিনি। চারবার ক্লাব বিশ্বকাপ জেতা ইতিহাসের প্রথম কোচও তিনিই। কার্লো আনচেলত্তি জিতেছেন তিনবার। আর সিটি প্রথম ইংলিশ ক্লাব, যারা একই সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপের মুকুট জয়ী। ক্লাব বিশ্বকাপ জেতা চতুর্থ ইংলিশ ক্লাব তারা। সিটিতে এসে ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের কথা অবশ্য কখনও কল্পনাও করতে পারেননি গুয়ার্দিওলা। "খেলোয়াড়রা এখনও ক্ষুধার্ত ও অনুপ্রাণিত। অনেক বছর ধরে এই ক্লাবের অনেক লোকের জন্য আমি সত্যিই খুব খুশি। ম্যানচেস্টারে এসে আমি কখনই ভাবতে পারিনি যে, আমরা এতকিছু করতে পারব এবং ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়ে (চক্র) পূরণ করতে পারব।”