গাজীপুরের টঙ্গীতে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনের লাঙল প্রতীকের প্রার্থী জয়নাল আবেদীনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। রোববার দুপুরে সাতাইশ নীড এডুকেয়ার স্কুলে আয়োজিত এক সভায় বিক্ষুব্ধ নেতারা এ ঘোষণা দেন। টঙ্গী পশ্চিম থানা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম ইউনুছ জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনের লাঙল প্রতীকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কমিটি করা হয়েছে তা কারো সাথে যোগাযোগ না করেই মনগড়াভাবে তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। আমার সাথে কোন আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই পশ্চিম থানা নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আমার নাম দেয়া হয়েছে। আমি এর তীব্য নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রয়োজনে প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, জয়নাল আবেদীন গত ২০১৮ সালে দলের সাধারন সম্পাদক থাকা অবস্থায় মহানগরের ৫৭টি ওয়ার্ডের একটিতেও কাউন্সিলর প্রার্থী না দিয়ে নৌকা প্রার্থীর কাছে দলের নেতা কর্মীদের মাথা বিক্রি করেছেন, ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের মেয়র প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও ঘড়ি প্রতীকের হয়ে কাজ করেছেন। গাজীপুর-২ আসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আসনে জয়নাল আবেদীনকে দল নমিনেশন দেওয়ায় দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতাশ। নমিনেশন নেওয়ার পর দলের ত্যাগি নেতাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ ছাড়াই নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে শুধু নাম দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের আবাক করেছে। আমরা টঙ্গী পশ্চিম থানা জাতীয় পার্টির সকল ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে জয়নাল আবেদীনকে টঙ্গী পশ্চিম থানায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হলো। এইরকম জনবিচ্ছিন্ন লোককে আমরা জাতীয় পার্টির (লাঙল প্রতীকের) প্রার্থী হিসেবে মানি না। যে কিনা পল্লি বন্ধুর আদর্শকে অপমান করেছে এবং জনবন্ধু জিএম কাদের এমপির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী পশ্চিম থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুস সামাদ মিয়া, পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন, টঙ্গী পূর্ব থানা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক, টঙ্গী পশ্চিম থানা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম, ৫৩নং ওয়ার্ড সভাপতি ফকির নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক শাহজাহান সরকার, রফিকুল ইসলাম, আনিসুল হক, মহাসিন মুন্সি, আবদুল কাদের, জাহিদুল ইসলাম বাবু, সিরাজুল ইসলাম, হেলাল মিয়া হেলু, কামাল হোসেন, হাসান, ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।