সম্রাট বাবরের আমলের তৈরি স্বরুপকাঠির (নেছারাবাদ) চারটি প্রাচীন মসজিদ ভগ্নদশায়। পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি উপজেলার ইন্দেুর হাট বেপারী বাড়ি সংলগ্ন একটি, এর দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে সোগদল বরছাকাঠির সরদার বাড়ি ও মৃধা বাড়ি দুইটি ও ছারছীনা দরবার শরীফ সংলগ্ন একটি,এ চারটি মসজিদই ঝরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ১৫২৮ সালে বাবরি মসজিদ তৈরির আগে ১৫২৬ সালের দিকে প্রথম মুঘল সম্রাট বাবরের শাসনামলে এ মসজিদ চারটি একই ডিজানে তৈরি হরা হয়। প্রতিটি মসজিদের দৈর্ঘ্য ২২ ফুট ও প্রস্থ ১২ ফুট ও ভিতরের মেঝে ৮ ফুট প্রস্থর রয়েছে। মসজিদগুলোর তিনটি দরজা ও ওপরে কারুকার্যের গোলাকার ছোট-ছোট তিনটি গম্বুজ রয়েছে যা লতা-পাতায় আগাছাপূর্ণ। তবে মসজিদের ভিতরে তিনটি মিহরাবসহ চার কোণে রয়েছে চারটি কর্নার মিনার যা সম্রাট বাবর আমলকেই স্বাক্ষ্য প্রমান করে। এসব স্থাপনাগুলো মাটিতে দেবে যাওয়ার কারণে মসজিদগুলোর উচ্ছতার সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি। প্রায় পাঁচ শ” বছর আগে মসজিদগুলোর অলঙ্কৃত দেয়ালের ফলক খষে পড়ে গেছে শত বছর আগেই। যার কারণে খোঁদাই করা নামের কোনো চিহ্নি না থাকলেও স্থানীয়রা অনেকে এসব মসজিদকে “বাবোরিয়া মসজিদ” নামেও বলেন। প্রাচীন এসব মসজিদে নামাজ পড়ার উপযোগী না থাকলেও সৃষ্টিকর্তা সন্তুষ্টির জন্য স্থানীয়রা প্রতিবছর পৌষ- মাঘে সিন্নী-পায়েসর আয়োজন করেন। অযতেœ আর অবহেলা মসজিদগুলো তিন থেকে চার স্তার মাটির নিচে দেবে গেলেও গম্বুজগুলো স্মৃতিচরণে ভগ্নদশায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে মসজিদে কোনো নির্দেশক শিলালিপি পাওয়া না গেলেও মুঘল আমলের প্রথম সম্রাট বাবরের বহু স্থাপণার গঠনরীতির সাথে এর মিল রয়েছে। যা সম্রাট বাবরের শাসণামলের স্বাক্ষ্যদেয়। মসজিদের পাশে বাঁধাই করা একটি কবর রয়েছে। ধারনা করা হয় মসজিদটি যিনি রক্ষণা-বেক্ষণ করতেন তারই এ কবরটি। অযতেœ-অবহেলা মাটির নিচে সেটিও দেবে গিয়ে একফুটের মত উঁকি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ কবরটি। প্রাচীন এ নিদর্শনগুলো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় রক্ষা করা গেলে অঞ্চলটি পর্যটক আকর্ষণের পাশাপাশি ইতিহাসসমৃন্ধ হওয়ার সম্ববনা রয়েছে। সরকারিভাবে স্থাপণাগুলো টিকিয়ে রাখলে ভবিষাৎ প্রজম্ম এ থেকে উপকৃত হবে এবং প্রাচীন ইতিহাস সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জনের সম্ববনা রয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।