খরচ কমাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রয়োগ শুরু করেছে ভারতীয় বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান পেটিএম। আর এর পরপরই মূল সংস্থা ‘ওয়ান-৯৭ কমিউনিকেশন’ পেটিএম এর বিক্রয় ও প্রকৌশলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ১০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেটিএম এর কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্তর্ভুক্তির কারণ হলো খরচ কমানো ও কারিগরি কার্যক্রম উন্নত করা। প্রতিষ্ঠানটির ধারণা, এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কমপক্ষে ১০ শতাংশ কর্মীর পেছনে যে ব্যয় হয় তা সাশ্রয় হবে। বিপরীতে কাজও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি করতে পারবে। বিবৃতিতে পেটিএম বলছে, তারা এআই-চালিত অটোমেশন দিয়ে পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ বাদ দিচ্ছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সংখ্যাও হ্রাস পাঁচ্ছে। এ ছাড়া, বছরজুড়ে পারফরম্যান্স মূল্যায়নের বিষয় তো আছেই। পেটিএমের প্রধান নির্বাহী বিজয় শেখর শর্মা তাঁর প্রযুক্তি, পণ্য ও প্রকৌশল টিমকে মাইক্রোসফট ও গুগলের এআই ব্যবহার করার চাপ দিচ্ছেন। আগে যে কাজ করতে সপ্তাহ লেগে যেত তা এখন কয়েক দিনেই হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চায় ছয় হাজার অভিবাসী, সীমান্তে বিরাট মিছিল ২০২২ সালের জুনের পর মেক্সিকো সীমান্তে সবচেয়ে বেশি মানুষ জড়ো হয়েছেন বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি। প্রায় ছয় হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চাইছেন বলে অভিযোগ। মেক্সিকোর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মানুষের দল সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। সীমান্তেই তারা বড়দিন পালন করেছেন। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা মূলত সেন্ট্রাল আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দেশগুলো থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে। মেক্সিকোর সীমান্ত শহর তাপাঁচুলা থেকে ১৫ কিলোমিটার হেঁটে তারা সীমান্তে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। সোমবার ভোর ৪টা নাগাদ তারা সীমান্ত পার করার পরিকল্পনা করছিল বলে দাবি করা হয়েছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন হনডুরাসের ক্রিশ্চিয়ান রিভেরা। সংবাদসংস্থা এপি-কে তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রায় তিন চার মাস ধরে আমরা সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনছিল না। তাই আমরা মিছিল করে সীমান্ত পারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাড়ির সকলকে হন্ডুরাসে রেখে একাই সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছেন রিভেরা। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে কাজ পেলে বাকি সকলকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
বাইডেনের অভিবাসন নীতি
মেক্সিকো-আমেরিকা সীমান্তের এই বিশাল মিছিল বাইডেনের অভিবাসননীতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপর দীর্ঘদিন ধরেই অভিবাসননীতি নিয়ে চাপ তৈরি করছিলেন রিপাবলিকানরা। ইউক্রেন যুদ্ধের বাজেট কমিয়ে সেই অর্থ অভিবাসননীতিতে ব্যবহারের দাবি তুলেছে রিপাবলিকানরা। সীমান্তে পাঁচিল তোলার কথাও বলা হয়েছে। অন্যদিকে গত মে মাসে জো বাইডেনের প্রশাসন মেক্সিকোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া, কিউবা থেকে আসা যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আমেরিকা ঢুকতে দেয়নি, মেক্সিকোকে তাদের জায়গা দিতে হবে। মেক্সিকো এই চুক্তি মেনে নিয়েছে। কিন্তু বিরাট এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মিছিলের কী ব্যবস্থা করবে মেক্সিকো, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিরাট প্রশ্ন।